“হে অন্ত্যজ হে ব্রাত্য” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
আজকের প্রযুক্তিময় পৃথিবী নির্মাণের মূল কারিগর কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ। সভ্যতা, শিল্প, সাহিত্য ও আজকের নান্দনিক নিকুঞ্জ, সেইসব মৃত্তিকালগ্ন মানুষের শ্রম ও ঘামের প্রতিদান। কিন্তু কে ফিরে দেখে সেই প্রদোষের দীর্ঘদেহী পুরুষের কুঁড়েঘর। অথচ রঙিন পৃথিবীর প্রতিটি শ্বেত পাথরের কারুকাজে আছে তাদের রক্তকণা। কবি পৃথিবীর শীর্ষ থেকে চেয়ে দেখতে চান শিকড়ের ভিত। সেই ভিত ও ভিত্তিপ্রস্তরের নামফলক উন্মােচন করতে চান। এই কাব্য আদিম পুরুষের দৈহিক কাঠামাের গড়ন উদ্ধারের অনুসন্ধিৎসু মনের ভাববাচ্ছ্বাস। একই সঙ্গে শােষকের বিকলাঙ্গ দেহের সল্কারে অনীহা তাঁর। শিক্ষিত পৃথিবীর ভীড়ে আজও অবহেলিত সেই তৃণমূল ও ব্রাত্যজন। হে অন্ত্যজ হেব্রাত্য মূলত সেই পুরুষােত্তমের জন্য অর্ঘবিরচন।