‘নষ্টপাড়ার পাঞ্চালীরা’ বই এর ফ্ল্যাপের লেখা
অন্ধকার। গভীরতর অন্ধকার সেখানে। প্রয়োজন আলো, আলোর আয়োজন। আলোর আয়োজন নিয়ে কখনো-কখনো এগিয়ে আসে কেউ কেউ। তবু বড়ো অপ্রতুল সে আলোর আশ্বাস। বদলে যাওয়া সময়ে এল বাহারি শব্দের মুখোশ—‘যৌনকর্মী’। মুখোশের রং বদলে গেল নানা বিজ্ঞাপনে । ‘মানবিকতা’,‘নারী স্বাধীনতা” ইত্যাদি বহু শব্দের জাগলারি চলতেই থাকে। এগিয়ে আসে রাজনীতি, পিছিয়ে যায় রাজনীতি। সক্রিয় এনজিও কর্মীদের সক্রিয়তা বাড়ে। তবু বদল হল না ভিতরের গুমোট অভিমান। দুঃখ ও হিংসা, পাশবিক অত্যাচার ও মানবিক মুখের সহাবস্থান সেখানে। সমাজ তাদের স্বীকৃতি দিতে চায়নি । স্বীকৃতি অথচ তাদের আছেই। তথাকথিত ‘নষ্টপাড়া’-র মেয়েদের নিয়ে অন্তরঙ্গ ভঙ্গিমায়, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কাজ করে চলেছেন লেখক। নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে দুরূহ কাজটি করতে গিয়ে বিপন্ন হয়েছেন তিনি। ক্রমশ ভেঙে পড়েছে তাঁর পারিবারিক কাঠামো। বিপর্যস্ত তিনি। তবু থেমে থাকতে চাননি তিনি। মহাকাব্যিক বিষাদ ভিড় করেছে তাঁর লেখায় । গদ্যভাষাকে দিতে চেয়েছেন নিজস্ব মর্যাদা।