“মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ” বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
লেখকের দাবি, ‘৭৫ পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময়ে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম এই প্রজন্মের অনেকেই আসলে চোখে ঠুলি পরা প্রজন্ম। এই প্রজন্মের অনেকেই কিছু দেখতে পারে নাই, কিছু পড়তে পারে নাই, কিছু জানতে পারে নাই। একেবারেই ঐকান্তিক আগ্রহ ব্যতীত তখনকার বা এই প্রজন্মের জন্য সত্য জানাটা একরকম অসম্ভব।
নিচের প্রশ্নগুলাের দিকে একটু লক্ষ্য করুন,
(১) অখণ্ড পাকিস্তান কি একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র হতে পারতাে না?
(২) ৭ মার্চ কেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘােষণা করলেন না?
(৩) বঙ্গবন্ধু কেন পালিয়ে গিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন না?
(৪) বঙ্গবন্ধু কি আদৌ স্বাধীনতার ঘােষণা দিয়েছিলেন? পাকিস্তানি দলিল, মার্কিন দলিল এবং বিদেশি মিডিয়া কি বলে?
(৫) বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলনায়ক আসলে কে ছিলেন?
(৬) আওয়ামী লীগের কি স্বাধীনতা নিয়ে আদৌ কোন প্রস্তুতি ছিলাে?
(৭) জেনারেল ওসমানী কেন আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন না?
(৮) পাকবাহিনী কি শুধুই ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলাে?
(৯) বুদ্ধিজীবীদের কেন হত্যা করা হয়েছিলাে?
(১০) বুদ্ধিজীবীরা কি নির্বোধের মতাে মারা গিয়েছিলেন?
(১১) স্বাধীন দেশে জহির রায়হানকে কারা হত্যা করে?
(১২) ১৬ ডিসেম্বর কি বাংলাদেশের জন্মদিন?
(১৩) বঙ্গবন্ধু নাকি যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন?
(১৪) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক হলে এটা বিদেশে না হয়ে দেশে হচ্ছে কেন?
(১৫) এতাে কম বয়সে কি যুদ্ধাপরাধ করা যায়?
(১৬) এতাে বছর পর কেন নিরীহ বৃদ্ধ মানুষকে ধরে ধরে বিচার করা হচ্ছে?
(১৭) এটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হলে জাতিসংঘ কেন এই বিচারে আসলাে না?
এই প্রশ্নগুলোকে খুটিয়ে দেখা হয়েছে বইটিতে। বইটি পাঠককে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নতুন করে ভাবাবে বলে আশা রাখি।