হাবীবাহ্ নাসরীন স্বভাব কবি। যেকোনাে কথাকে সহজেই ছন্দে রূপ দিতে পারেন। তার কবিতা পড়তে খুব বেশি ভাবতে হয় না। পড়ার পরেও তা চেতনাকে তাড়িয়ে বেড়ায় না। এ দায় নিয়ে তিনি কবিতা লেখেনও না। সহজ-সরল শব্দের সঙ্গে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের কারুকাজে তিনি শখের পায়রাকে পােষ মানান মনের ঘরে। খােলা প্রান্তর পেয়ে কখনাে তা কবিতা হয়ে আকাশে উড়ে যায়। কিংবা তার কবিতাই একটা আস্ত আকাশ। বহুরূপী এবং উন্মুক্ত। ইচ্ছে হলেই সেখানে মনের পায়রা উড়াল দিতে পারে। এই পুষে রাখা এবং উড়ে চলা ভাবের সঙ্গী হয়ে ছুটে বেড়ানাে যায় সহজেই। পাথর বুকটা হালকা করতে এ যেন এক আশ্চর্য মহাষৌধ!
‘তুমি আমার শুদ্ধতম পাপ’ সহজিয়া ধাচে মনের ছাঁচে ফেলে গড়া কবিতার ঘর। কখনাে দুই, কখনাে চার কখনােবা এর গুনিতক পঙক্তিতে আঁটা যার কলকব্জা। কিছু সময় এ ঘরে কাটালে মনের তাপ কমবে, পাপ কিছুই হবে না।