“পুরুষতন্ত্র ও যৌনরাজনীতি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
সারা পৃথিবী জুড়ে নানাভাবে যৌননির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে নারী। নারীভাবুকেরা বলছেন, নারী নির্যাতনের এই দিকটি আর কিছুই নয় যৌনরাজনীতিরই বীভৎস দিক। পুরুষ শ্রেষ্ঠ, শারীরিকভাবে নারীর তুলনায় অনেক বেশি পেশীশক্তির অধিকারী, ফলে তাকে মেনে নিতে হবে পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব আর আধিপত্য। নারী-পুরুষের এই হায়ারার্কিক্যাল বা উঁচুনিচু অবস্থান নির্ণয় করতে গিয়ে পুরুষ যৌনতাকেই ব্যবহার করেছে সবচেয়ে বেশি। যৌনপ্রশ্নে নারী মেনে নিয়েছে পুরুষতন্ত্রের দাসত্ব ও বশ্যতা। নারীভাবুকেরা বলছেন, পুরুষতান্ত্রিক এই যৌনমিথকে অবিনির্মাণ করে গড়ে তুলতে হবে নতুন যৌনসম্পর্ক। আর তাহলেই যৌন-আধিপত্য থেকে মুক্তি ঘটবে নারীর। একুশ শতকের পৃথিবীতে। নারী-পুরুষের সম্পর্ক এভাবেই মানবিকতার ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে, অন্য কোনােভাবে নয়। এই গ্রন্থের বিভিন্ন প্রবন্ধে তারই তাত্ত্বিক বয়ান উপস্থাপন করা হয়েছে। নারীবাদ-অধ্যয়ন আর জেন্ডার গবেষণার একাডেমিক উৎসের পাশাপাশি। সাধারণভাবে নারী-পুরুষের সম্পর্ক উপলব্ধির অনন্য গ্রন্থ এটি।