লেখার শুরুটা ছিল শূন্যতা থেকে। অন্ধকার বিশাল গহ্বরে তলিয়ে যাবার আগে আঁকড়ে ধরেছিলাম যা পাই। পেয়েছিলাম কারিগর’কে। চোখের সামনে যেন দেখলাম, কে একজন বাক্স বানায়। কেন বানায় জানি না। ওটুকুই লিখে রাখলাম কীবাের্ডের কালাে অক্ষরে। শব্দের পর শব্দ জুড়ে ‘বীজপুরুষ তৈরি হলাে। একে একে এলাে বাবাইয়ের এমন একটি অলৌকিক বাবুই, ফাক আপ নাইটস, তারা ও মীন রাশির জাতক, অমৃতস্যবয়ান এবং অন্যান্য গল্প। এই শিল্পসৃষ্টি প্রকৃত অর্থেই ইচ্ছেগুলাে রচনা করে যাওয়া। জগাখিচুড়ির সংসারে যা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। গল্পগুলাের বয়স ছয় বছর। মনে হলাে গল্পের গতিপথ বদলে যাচ্ছে, নির্মাণকৌশল, বিষয়বৈচিত্র্য কি বয়ানভঙ্গিতে। সাহিত্যে বা নন্দনতত্ত্বে আসলে শেষ বলে কিছু নেই। তাই এই গল্পগুলাে এক মলাটে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম।