“পজেস্ড” বইয়ের প্রচ্ছদের অংশ:চপলদের বাসার সামনে এসে সিএনজির ভাড়া ঢুকিয়ে সদর দরজাটা খুলতেই কে যেন মাথার মধ্যে বলে উঠলাে, ‘মহাবিপদ সামনে, পালাও, এখনি পালাও’ ডা. সেন। তবুও চপলদের বাসায় ঢুকলেন। বুইরা হারামজাদা আসছে, ওরে মাইরা তারপর তােদের মারবাে। কেউ বাঁচতে পারবি না থাসাস স্কোতসাে। ওলিও এনা প্রেস এনা (এক এক করে তােদের সবাইকে মারবাে) । হা হা হা হা… দোতলার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতেই পৈশাচিক কণ্ঠের হাসিটা শুনতে পেলেন ডা. সেন। ভারী পুরুষালি কণ্ঠস্বর। হাসিটার মধ্যে একরকমের তীক্ষণতা আছে, মেরুদণ্ড শীতল করে দেয়। ডা. সেন ঘরে ঢুকে দেখেন চপল মাথায় এক হাত দিয়ে। নিজের মাথা চেপে ধরে অন্য হাতে মুন্নির বুকটা চাপ দিয়ে ধরে রেখেছে, তার মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। উপল আর পারভিন মিলে আতঙ্কিত মুখে বিছানার সাথে মুন্নির হাত আর পা চেপে ধরে আছে, শাহেদা খাতুন কোরান শরীফ মেলে ধরে জোরে জোরে সুরা পড়ছেন। আর মুন্নি অপ্রাকৃতিক হাসি মুখে দরজায় দিকে তাকিয়ে আছে। ডা. সেনকে দেখেই মুন্নি বলে উঠলাে, আয় আয় শুয়ােরের বাচ্চা, থা পেতানেস মি তনত্রপাে পাে স্কোতসেস তি গাইনাকাসাে। (তােকেও সেইভাবে মারবাে যেভাবে তাের বউকে মেরেছিলাম)।। তারপর শ্বাশুড়ির দিকে তাকিয়ে বললাে। চুপ কর হারামী, নাটক করিস? তাের দোয়ায় কিছু হবে না। বলেই আবার পুরুষের কণ্ঠে অট্টহাসি দিলাে