বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা
সোমালি জলদস্যুর কবলে এমভি আতাতুর্ক। পঁচিশ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দিলে তবেই ছাড়া পাবে সতেরােজন নাবিক এবং জাহাজের ক্যাপ্টেন আলিপুর নিবাসী বিক্রম চৌধুরী। ভারত মহাসাগরে পাইরেট বনাম। নাবিকের নাটকীয় সংঘাতের জেরে উদ্বিগ্ন চৌধুরী পরিবার। একদিকে মিডিয়া কভারেজের চাপ, অন্যদিকে স্ত্রী লীনা, বাবা অমর আর মেয়ে ওলির পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতায় অসংলগ্ন পরিত্রাণপর্ব। ক্যাপ্টেনের অনুপস্থিতিতে বিড়ম্বিত তিনজনেই আমেরিকার কলেজে অ্যাডমিশান পেয়েছে ওলি, ডলারের আশু প্রয়ােজন মেটাতে ওর বাবার উপস্থিতি একান্ত জরুরি ছেলের অনুমতির অপেক্ষায় ওল্ড-এজ হােমের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন অমর লীনার মাথায় ঘুরছে অন্য এক ভাবনা। ইদানীং বিক্রমের আচমকা ব্যবহারে বিপর্যস্ত হয়েছে ওদের বিবাহিত জীবন। মনে মনে তাই লীনাও প্রস্তুত হচ্ছে, বাইরের দরজা খুলে নতুন সম্পর্কের অজানা সমুদ্রে ভাসবে বলে। হাইজ্যাকিং-এর মাসকাবারে প্রশ্ন উঠেছে, ক্যাপ্টেন জীবিত না মৃত, কোথায় তিনি? জাহাজেই না কি পাইরেটদের সেই ভয়ংকর দেশ সােমালিয়ায়? অলৌকিক পূর্বাভাসের অপেক্ষায় দিন গুনছে। বিক্রম।বােঝালেও বুঝবে কি লীনা? ও কি পরিত্রাণ পাবে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার অত্যাচার থেকে? নিজেকেই বন্দি করেছে অসহায় নাবিক, দস্যুই কি তার মুক্তিদাতা হবে?