‘দিগন্তে আঁকি পদচিহ্ন’ বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ আদিকাল থেকেই মানুষ ভ্রমনপিপাসু। সে তার নিজের পরিবেশের বাইরের পরিবেশকেও দেখতে চায়। বিনোদন-লাভ ও জ্ঞানার্জন এ দুই উদ্দেশ্যই। মানুষ চারপাশের জগক্টাকে দেখতে চায়। সাধারণ মানুষের বাইরে কোনো লেখক যখন ভ্রমন করেন তখন তিনি লেখার উপকরণও পেয়ে যান।
সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় এই গ্রন্থের লেখকের পদচারণা আমরা গভীর ঔৎসুক্য নিয়ে লক্ষ্য করছি।এই গ্রন্থে চারটি দেশের ছোটো-বড়ো ৮টি ভ্রমণ বৃত্তান্ত রয়েছে। ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের ভ্রমনবৃত্তান্তগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, পর্যটন স্থানগুলোর ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্থাপত্য, মানুষের খাদ্যাভ্যাস ছাপিয়ে মানুষের রুচি-সংস্কৃতির বিবরণও বিবৃত হয়েছে। ভ্রমণসাহিত্যের বর্ণনায় এই লেখক তার অপর গ্রন্থ ‘হিমালয়ের দেশেও বিশেষ এক মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন, যা বাংলা ভ্রমণসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। লেখকের এই ভ্রমনবয়ানে বিশেষ এক বর্ণনাশৈলী লক্ষ্য যায়, যা এটিকে ভ্রমনসাহিত্যে রূপায়িত করেছে বলে মনে করি।
ড. সাকিল আহম্মেদ
কবি ও ঔপন্যাসিক
প্রচ্ছদ : আবুল ফাতাহ