নিরীক্ষার চাইতে জীবনের ঐশ্বর্যই আনােয়ারুল হকের গল্পে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। তাঁর গল্পের চরিত্রগুলাে পাঠককে একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে নিয়ে যায় ঠিকই; কিন্তু, গল্প শেষে ঘটনা আর একমুখী থাকে না—আরও কোন দিকে বিচরণ করতে পারত। —সেই সম্ভব্য ঘটনাগুচ্ছ মৃদুভাবে হাতছানি দেয়। যে কারণে পড়তে পড়তে পাঠক মূল গল্পের মধ্যে থেকেই নিজের গল্প গেথে গেথে এগুতে থাকবেন। এই আবহ পাঠককে তার সাহিত্য মেজাজে বিচরণের ক্ষেত্রটিকে আরও প্রসারিত করে। আনােয়ারুল হক সমকালীন বিষয়ের গল্পেও মানুষের চিরকালীন প্রবৃত্তিকেই চিহ্নিত করতে চেয়েছেন যে কারণে ওই গল্পগুলাে শুধু ঘটনায় আটকে না থেকে মানবীয় আবেগে পৌছে যায়।