সৃষ্টিজগতের সবকিছুই তিনটি মাত্রার মধ্যে অস্তিত্বমান। আমাদের চারপাশে অবস্থানকৃত সবকিছুরই আছে দীর্ঘতা, প্রশস্ততা এবং স্থূলতা। তবে, ধরুন এই তৃতীয় মাত্রার জগতে বাস করেও নিম্নতর দ্বিতীয় মাত্রার জগতকে আমরা খানিকটা প্রত্যক্ষ করতে পারি। তা কেবল আমাদের লেখনীর মাধ্যমে। খাতা-কলমে আপনি যাই লিখবেন না কেন, আপনার লেখার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে আকার পেতে থাকবে দুই মাত্রার একটি জগত। মেটাফিকশন লেখার শুরুর গল্পটা অনেকটা এই রকম কনসেপ্টকে ঘিরেই। ধারণা করা হয় প্রকৃতই অস্তিত্ব পাচ্ছে বইয়ের ভেতরের জগত। কেমন হবে! যদি একটি বইয়ের ভেতর ঢুকে যাওয়া যায়? আনতারিস একটি বইয়ের দুনিয়া, যা পাঠকের ইচ্ছে অনুযায়ী কাহিনির পট-পরিবর্তন করে। বইটি পড়ার পর আলাপ করে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নেবেন, কাহিনিচিত্র মিলছে কি না। হতে পারে আপনার মনের ইচ্ছে অনুযায়ী আনতারিস ভােল বদলাচ্ছে।