কে তিনি?
তিনি ভারত-ভূমির এমন এক মনীষী যার সাথে তুলনীয় ব্যক্তি কেবল তাঁর সময়ে অনুপস্থিত ছিলো তা নয়, কেবল ভারতেও অনুপস্থিত ছিলো তাও নয়, বরং বহু শতাব্দী ও বহু মুসলিম দেশের বহু কালের ইতিহাসে এমন ব্যক্তির উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তিনি ছিলেন এমন, যদি কেবল একজন মনীষী—শাহ ওয়ালিউল্লাহ জন্ম নিতেন, তবে তা-ই মহাভারতের জন্য গর্ব করার জন্য যথেষ্ট হত। যদি শাহ সাহেব ইতিহাসের শুরুভাগে জন্ম নিতেন তবে তিনি ইমামুল আয়িম্মা ও তাজুল মুজতাহিদিনের অন্তর্ভূক্ত গণ্য হতেন।
ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে রুশদের পরে বরং তাদের সময়ে মুসলিমদের মন-মননে যে চরম অবনতিশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছিলো, সে মতে আশাই করা যায় না যে, আবারো মুসলিমদের মধ্য থেকে কোন মহামনীষী জন্ম নেবে। কিন্তু কুদরাত সবাইকে অবাক করেছে। শেষ জমানায় শাহ ওয়ালিউল্লাহর মত মনীষীর জন্ম হল। যার সাথে কেবল গাজালি, রাজি ও ইবনে রুশদের কীর্তি ও অবদানের তুলনা চলে।
তিনি সেই তুবা বৃক্ষ যার শিকড় তাঁর ঘরে প্রথিত এবং যার শাখা মুসলিমদের প্রত্যেক ঘরে বিস্তৃত।
সবিশেষে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ তুলে ধরছি :
‘এই দীন-হীনের অসিয়াত, ইতিকাদ ও আমলের বেলায় ‘কিতাব ও সুন্নাহ’ শক্ত করে ধারণ করবেন। অবিরাম এদুটি বিষয়ে অধ্যয়ন, গবেষণা ও সাধনা অব্যাহত রাখবেন। প্রতিদিন এ দুটি থেকে কিছু কিছু পাঠ করবেন। যদি বয়সের ভারে পড়ার সামর্থ না থাকে তবে অন্তত একটি পৃষ্ঠা হলেও কারো দ্বারা পড়িয়ে শুনবেন।’