প্রত্যেকটা মিথ্যার তলে সত্যের যে টুকরাগুলা থাকে, ঔপন্যাসিকেরা ওইগুলা বলেন। …আমি ওইসব লেখকরে সন্দেহ করি, যারা নিজেদের সম্পর্কে, জীবন বা জগৎ সম্পর্কে, সম্পূর্ণ সত্যটা বলার দাবি করে। আমি ওইসব সত্য পছন্দ করি, যেগুলা আমি, নিজেরে সবচাইতে বড় মিথুক হিশাবে উপস্থাপন করা লেখকদের মধ্যে পাই।…
লেখালেখি এমন একটা কাজ, যেটা তখনই সফল হয়, যখন লেখক নিজের অন্তর্গত সত্তারে পুরাপুরি প্রকাশের সুযােগ পায়। একজন লেখকের নানারকম বাধ্যবাধকতা থাকে। সাহিত্যিক বাধ্যবাধকতা যেগুলা, ধরেন যে, সনেটের পঙক্তিসংখ্যা বা ক্ল্যাসিক্যাল ট্রাজেডির নিয়মকানুন- এগুলা লেখালেখির গঠনকাঠামােরই অংশ,… অনেক সামাজিক বাধ্যবাধকতাও কিন্তু আছে, যেমন: ধর্ম, ইথিক্স , দার্শনিক ক্যাচাল বা রাজনৈতিক দায়িত্ব। কোনাে লেখার উপর এইগুলা সরাসরি চাপায়ে দেওয়া উচিত না, বরং লেখকের নিজের সত্তার, উপলব্ধির ভিতর দিয়া ফিল্টারিং হইয়া এই ব্যাপারগুলা আসা দরকার।
– ইতালাে কালভিনাে, ১৯৯২