‘আমি যে তলে তলে সিএনজি (পরকীয়া) চালাই, সেটা আমার বউ নাদিয়া ঘুণাক্ষরেও জানতে বা বুঝতে পারেনি। অবশ্য জানবে কোত্থেকে? ও তো দুনিয়াদারির খোঁজখবর খুব একটা রাখে না। বিয়ের বয়স হলো মাত্র তিন বছর। অথচ ভেতরে ভেতরে আমি প্রেম করি ডজনখানেকের ওপরে। এটা আমার এক ধরনের বিকৃত ফ্যান্টাসি বলা যায়। নাদিয়া একটু মোটাসোটা ও বোকা প্রকৃতির হলেও আমি কিন্তু আবার বুদ্ধির সাগর। বুদ্ধির ঠ্যালায় টেকা দুষ্কর। এখানে ভাটার কোনো চান্স নেই, মুহুর্মুহু জোয়ারের ঠ্যালায় সারাক্ষণ খৈর মতো ফুটতে থাকে ইঁদুর বুদ্ধি। শুধু ইঁদুরের মতো কুটকুট শব্দ। আমি অবশ্য এসবকে বুদ্ধি বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও নাদিয়া আবার এসবের স্বীকৃতি দিতে চাইত না। বরাবরই ঘোর অস্বীকৃতি জানাত বরং আমার মুখের ওপর শপাং করে বলে বসত, ‘ধুর! এসব বুদ্ধি না ছাই যত্তসব কুবুদ্ধি!’