“নিষিদ্ধ পল্লি” বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া
রাশেদের কথাগুলাে শুনে রুবিনার চোখে পানি চলে এল। রুবিনার কালাে বর্ণের চোখের মণির চারপাশ লাল রঙে ছেয়ে গেছে। শহরের সকল সৌন্দর্য এখন তার ঐ দুই চোখে ভর করেছে। রাশেদের একগুচ্ছ কথারূপী হাস্নাহেনায় তার হৃদয়ের বাসর সংঘটিত হচ্ছে। এ যেন একগুচছু কথা আর একটি দুঃখভরা নীল নদের বাসর। রাশেদের কথাগুলাে রুবিনার জীবনের দুঃখের নীল নদকে ধুয়ে দিচ্ছে।
জগতের সকল কামনা-বাসনা থেকে আরাে আগেই তারা মুক্তি পেয়েছে। কখনাে শরৎ, কখনাে বর্ষা কখনাে এক জোড়া কদম ফুল তাদের এই শুদ্ধতার সাক্ষী।
রুবিনা তার মাথার সম্পূর্ণ ভার রাশেদের কাঁধের উপর দিয়ে পেছন থেকে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। আকাশ থেকে এতক্ষণে বর্ষণ শুরু হয়েছে। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ফোটায় ফোঁটায় বৃষ্টির পানি তাদেরকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। ঘরে ফেরার তাড়া তাদের মাঝে নেই। বৃষ্টি ক্রমশই বাড়ছে। মনে হচ্ছে জগতের সকল ব্যস্ততাকে সে গ্রহণ করেছে। জগতের সকল অধৈর্য এখন বৃষ্টির ভেতর। মনে হচ্ছে- এক জোড়া কদম বৃষ্টিতে ভিজছে। আর বৃষ্টি ভিজে চলেছে- একজোড়া পবিত্র মননে।