“অক্ষরবন্দি জীবন” বইয়ের ভূমিকা:
কিশােরবেলা থেকেই মােশতাক আহমদ সাহিত্য অন্তপ্রাণ। তাঁর অন্তর্গত রক্তে খেলা করে কবিতার ধ্বনিময় প্রতিধ্বনি। এই ধ্বনিময় প্রতিধ্বনি ক্রমশ প্রাণ পায় উপমা, রূপক, প্রতীক আর ছন্দের দোলাচলে, এই দোলাচলের অন্তর্ভুক্ত হতে থাকে মানুষ, প্রকৃতি আর বাঙলা নামে দেশটার প্রতিরূপ। কবির প্রাক্-প্রস্তুতি পর্বের এবং প্রস্তুতিপরবর্তীকালের আখ্যান অক্ষরবন্দি জীবন। আখ্যানের অনেকটা অংশ জুড়ে আছে কবির ছেলেবেলার স্মৃতি, আছে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের আরণ্যক পরিপ্রেক্ষিত। রূপকথার গল্পের মতােই কবি নির্মাণ করেছেন তার প্রাণ ভােমরা ‘শহীদ খুরশীদ স্মৃতি গ্রন্থাগার আর অন্যান্য বিচরণক্ষেত্রকে। ছেলেবেলার পাঠ্যস্মৃতিকে চলমান রেখেছেন বর্তমানকালের স্মৃতিসত্তায়। লেখকের বলার ভঙ্গিটা স্বতঃস্ফুর্ত ও বৈঠকী। ফলে মােশতাক আহমদের পাঠ্যস্মৃতি পাঠকের হৃদয়মনকে স্পর্শ করে। গদ্যের শৃঙ্খলা ও পদ্যের আবেগের যুগলবন্দিতে অক্ষরবন্দি জীবন পাঠককে নিয়ে যাবে অন্য এক অভিজ্ঞতায়।