একষট্টি বছর বয়ষ্ক এন্টনী গ্রে সতেরই জুলাই সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, তাঁর মাথায় নতুন চুল গজিয়েছে। তিনদিনের মাথায় নতুন দাতও উঠে গেল। পঁয়ত্রিশ বছরের যুবকে পরিণত। হলেন তিনি। তার ইএসপি ক্ষমতা অবিশ্বাস্য রকম বেড়ে গেল। অন্ধ মাকড়সা প্রজাতির প্রাচীনতমা মহিলা হিরির সাথে চিন্তা দিয়ে যােগাযােগ করলেন তিনি। হিরি তাঁকে সূর্যের আলাে দিয়ে ছবি আঁকা শেখাল।
কোনাে সন্দেহ নেই এই শহরে আরেকজন ইসমাইল সাহেব আছেন। সেই ইসমাইল সাহেবের চোখে আছে এই ইসমাইল সাহেবের চশমা। তিনি রীতিমতাে বাজার করছেন, অফিস করছেন, নাস্তা করছেন, ব্যাংক থেকে টাকাও তুলছেন। কিন্তু তার টাইম টেবিল আলাদা। তিনি এগিয়ে আছেন অন্যজনের চেয়ে। বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ছেন আগে, অফিসে চলে যাচ্ছেন আগে, ব্যাংক থেকে টাকাও তুলছেন আগে। অন্যজন গাড়ি ফেল করে পিছিয়ে পড়ছেন, টাকা পেয়ে ফেরত আসছেন ব্যাংক থেকে।
নওফেল দাঁড়িয়ে আছে সত্য ও মিথ্যার মাঝখানে। আলমারীর ডালা খুললেই যা কিছু সত্য, তা হয়ে যাবে মিথ্যা। মিথ্যা হয়ে যাবে সত্য। আলতাফ মিস্ত্রী বেরিয়ে আসবে, ইয়াকুব মিস্ত্রী বেরিয়ে আসবে, ফারিয়াও বেরিয়ে আসবে। আবার না খুললে একটা গাঁজাখুরি গল্পের কাছে হার মানতে হবে। ফাইজাকেও থাকতে হবে ভেতরে। নওফেল এখন কোনদিকে যাবে?