“অপরাহ্ন” বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া
আমাদের সমাজে চিরাচরিত একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে, তা হলাে বাবার পরে ছেলেকে সংসারের দায়িত্ব নিতে হবে- মেয়েকে নয়। মেয়েদেরকে পরের বাড়িতে যাবার জন্য বাবা-মাকে মানুষ করতে হয়। এই প্রচলিত ধ্যান-ধারণা থেকে বেড়িয়ে এসে বাবার অবর্তমানে মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে কিভাবে সংসারটিকে আগলিয়ে রেখেছে- সে চিত্রই সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে ‘অপরাহ্ন’ উপন্যাসটিতে। মেয়েকে শুধুমাত্র বিয়ের জন্য লেখা-পড়া শেখানাে নয়- বরং অল্প শিক্ষিত হয়েও শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তির কারণে কোনাে মেয়ে তার নিজ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে- তার স্পষ্টতঃ প্রমাণ মেলে এই ‘অপরাহ্ন’ উপন্যাসে। ছেলেমেয়েতে কোনাে তফাৎ নয়- উদার মন-মানসিকতায় মেয়েদের মনােবল তৈরিতে পরিবারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার সচেতন হলে বদলে যাবে সমাজের পুরােনাে ধ্যান-ধারণা। আর এই উদ্দেশ্যকে তুলে ধরবার ক্ষুদ্রতম প্রয়াস ‘অপরাহ্ন’ উপন্যাসটি।
-কথাসাহিত্যিক মঈনুদ্দিন কাজল