নৌকা ছাড়ার ঠিক আগ মুহুতে মাঝির খেয়াল হল, গনিকে সে অনেকক্ষণ ধরে দেখছে না, নাকি অন্ধকারে ঠিক ঠাহর করতে পারছে না। আছে হয়তাে কোন এক কোনায়। মাঝি নাম ধরে ডাকে গনি গনি! বাজান কই আপনে? অন্ধকারের মধ্যে সঙ্গীরা মুখ চাওয়া-চায়ি করে। পেন্সিল টর্চের আলাে ফেলে কমান্ডার হায়দার আলি। দলের সবচেয়ে কমবয়সি ছেলেটা নেই। মুহূর্তেই কমান্ডার এক লাফে পাড়ে উঠে। ‘ঝােপ-ঝাড়ের মধ্যে ঢুকতেই অদৃশ্য হয়ে যায়। মাঝির চিন্তাশক্তি লােপ পায়। দলের ছেলেগুলাে বিমর্ষ বদনে বসে আছে। কমান্ডারের নির্দেশ ছাড়া তারা এক পাও নড়তে পারবেনা। চরম উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে খানিকটা সময় পেরিয়ে যায়। ভয়বহ নিস্তব্ধতা একজন আরেকজনকে নিঃসঙ্গ করে দেয়। প্রতিটাক্ষণ প্রতিটা মুহুত কাটে এক অজানা আশঙ্কায়।