মফস্সল শহরের কলেজ শিক্ষক মায়ের মেয়ে জুই কলেজজীবন শেষে ভার্সিটিতে পড়তে ঢাকায় পা রাখে। ভার্সিটিতে সহপাঠী জেরিনকে সবচেয়ে কাছের বান্ধবী হিসেবে পেয়ে যায় সে। শহরের ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে হলেও জেরিন অনেক দুঃখী। তার মা কার অ্যাকসিডেন্টে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে গত পাঁচ বছর ধরে মুমূর্ষ অবস্থায় কোনােভাবে বেঁচে আছে। জেরিনদের বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া আসার সুবাদে জুই তাদের পরিবারের খুব কাছের একজন হয়ে ওঠে। জেরিনের মধ্যবয়সি বাবা আনিসকে দেখে, তার ব্যক্তিত্ব এবং স্মার্টনেসে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যায় জুই। মানুষটির প্রতি হৃদয়ের গভীরে এক ধরনের টান অনুভব করে। বয়সের বিস্তর ব্যবধান থাকলেও সমাজ সভ্যতার ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে মনে মনে বান্ধবীর বাবাকে প্রচণ্ডভাবে ভালােবেসে ফেলে। বিশেষ এক দুর্বল মুহূর্তে একদিন জুই তার প্রিয় মানুষটির গভীর সান্নিধ্যে আসার সুযােগ পায়। কিন্ত আনিস পরে নিজের ভুল উপলব্ধি করে উঁইয়ের কাছ থেকে সরে আসতে চায়। কিন্তু জুই এটা মেনে নিতে পারে না। বেপরােয়া হয়ে ওঠে সে নিজের ভালােবাসার মানুষটিকে একান্তভাবে কাছে পেতে।