সামনে বিশাল সমুদ্র, উত্তাল। পেছনে বন পাহাড়ের ছড়াছড়ি। মাঝখানে ক্রিসেন্ট ভ্যালি, বাঁকা চাঁদ। দু’পাশে অপেক্ষাকৃত সরু আর চিকন, মাঝে চওড়া। সমুদ্রের দিকে ক্রমশ ঢালু, আর পাহাড়ের দিকে কেবল চড়াই আর উত্রাই। এটাই আমার জন্মভূমি। ক্রিসেন্ট ভ্যালি। এখানেই আমার জন্ম। আমার নাম জুয়ানা। ক্রিসেন্ট লেক কলেজে আমি পড়ি। ক্রিসেন্ট ভ্যালির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার দায়িত্বে যে পাঁচজন মেধাবীর উপর তাদের মধ্যে আমিও একজন। বাকীরা হলাে হ্যাগার্ড, পল, অ্যালান আর মেরিনা। পাঁচজনের মধ্যে মেরিনা-ই শুধূ স্কুল লেভেলের আর বাকীরা সবাই কলেজ লেভেলের। হ্যাগার্ড দূরন্ত আর অতি সাহসী ধরনের ছেলে। পল হলাে পড়ুয়া আর অনুসন্ধানী টাইপের। বন্ধুরা বলে পল হলাে বুদ্ধিজীবী। অ্যালান দেখতে সবচেয়ে সুন্দর আর করিঙ্কর্মা। আর মেরিনা দূর্দান্ত চটপটে টাইপের মেয়ে। আর আমি জুয়ানা। শান্ত টাইপের মেয়ে। কেউ অহেতুক না ঘাটালে আমার মতাে শান্ত টাইপের মেয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না এই ক্রিসেন্ট ভ্যালিতে। কিন্তু কেউ যদি তা করতে আসে, তবে আমি তার শেষ দেখে ছাড়ি। এরকম ছয়টি গল্প নিয়ে ইউনুস আহমেদের সায়েন্স ফিকশন গল্প সংকলন ‘ইকারাসের ডানা’।