এক কী দুই সেকেন্ড নিজের ওজন অনুভব করল না মিসির কাকো, পরক্ষণে হাড়গোড় ভেঙে যাওয়ার মতো বাড়ি খেল পানির সঙ্গে, তলিয়ে গেল ঢেউয়ের তলায়। তরল বরফ শীতল পানি মুড়ে ফেলল ওকে।
পা ছুড়ে পানির ওপর মাথা তুলে গলা ফাটিয়ে ডাকল কাকো, ‘লতা!’ মরিয়া হয়ে ঢেউ খেলানো সাগরে চোখ বোলাচ্ছে। ‘লতা, আমার কথা শুনছে পাচ্ছ?’
‘কাকো!’ ভেসে এল নিস্তেজ গলা, সাগরের সঙ্গে আর যেন যুদ্ধ করতে পারছে না লাবণ্য।
নিজের বাঁ দিকে তাকাল কাকো, এক পলকের জন্য ম্লান ত্বক আর কালো চুল দেখতে পেল, তলিয়ে গেল পানির নিচে।
এ সময় শুনতে পেল এমএলবির শক্তিশালী ইঞ্জিন স্টার্ট নেওয়ার ভারী গর্জন, এম.ভি. দাস্তানের গা থেকে এমএলবিকে ছাড়িয়ে বড় করে শ্বাস নিল কাকো, ডুব দিল পানির নিচে, পা ছুড়ে নিচে নামছে। কালির মতো অন্ধকারে দৃষ্টিপথ বলে কিছু নেই, লাবণ্য হয়তো সরাসরি ওর সামনে রয়েছে, কিংবা হয়তো একশ ফুট দূরে