“বাংলাদেশের অর্থনীতির কালো জগৎ” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
বাংলাদেশের অর্থনীতির এ তাে এক বাস্তব চিত্র। প্রতিদিন যা আমরা দেখি ও শুনি, মিডিয়ায় যা সংবাদ হয় এ যেন তারই প্রতিচ্ছবি। লেখক একে সাজিয়েছেন নিজের মতাে করে। বিন্যাস করেছেন ভিন্ন ভিন্ন নয়টি অধ্যায়ে। লেখক তাঁর নিপুণ দক্ষতায় কালাে অর্থনীতির বিষয়গুলাে বর্ণনা করেছেন সামগ্রিকভাবে। কালাে অর্থনীতিকে বিচার বিশ্লেষণ করেছেন একটি ‘সিস্টেম হিসেবে। এ তাে কেবল অর্থনীতির সিস্টেম নয়, তিনি একে দেখেছেন। অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-সামাজিক বিষয়ের। আন্তঃসম্পর্কীয় বিষয়রূপে। কালাে অর্থনীতি গ্রাস। করছে সমাজ ও রাজনীতিকেও। কালাে অর্থনীতি, লেখক যাকে অভিহিত করেছেন অর্থনীতির কালাে জগৎ হিসেবে, দৃশ্যতই রাষ্ট্রীয় নীতি পদ্ধতিকে পাশ কাটিয়ে যায়, বহুলাংশে। এদের উপর ভর করতে চায়। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। কালাের মালিকেরা ক্রমশ অঢেল। সম্পদের মহিমায় অভিজাততন্ত্রে স্থান করে নেয়। আর এই প্রক্রিয়ায় দেশের রাজনীতি, শাসন পদ্ধতি তথা ক্ষমতাকেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে বসে। কালাে টাকার দাপটে তারা সব কিছু আয়ত্তে নেয়। রাষ্ট্রের কার্যকর অঙ্গসমূহকে ঘিরে গড়ে তােলে। অশুভ নেক্সাস। কালাের দাপুটে উপস্থিতি রাষ্ট্রকে এর ন্যায্য রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করে। সম্পদ অপচয় ও অপব্যয় হয়। সম্পদ কুক্ষিগত হয় মুষ্টিমেয় লােকের হাতে। সমাজ অপরাধপ্রবণ হয়। দুষ্টচক্রে বন্দি হয় সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতি। রাষ্ট্রের শক্তিশালী ভূমিকা ছাড়া এর থেকে বেরিয়ে আসা সম্পূর্ণ অসম্ভব। অত্যন্ত সহজ সরল ভঙ্গিতে সাধারণ পাঠকের। বােধগম্য করে লেখা বাংলাদেশের কালাে অর্থনীতির এ এক অনবদ্য গ্রন্থ। বাংলাদেশের। অর্থনীতি আলােচনায় নিঃসন্দেহে এক নতুন সার্থক সংযােজন।