আমিত্ব আর আত্মজৈবনিকতার মধ্য দিয়ে নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে ফেরেন এই সময়ের কবিরা। উপলব্ধি করতে চান আত্ম-আমি আর অপর-আমিকে। সেই সঙ্গে কবিতায় যুক্ত হয়ে যায় মানবিকতার অনুষঙ্গ বােধ। কবিতা হচ্ছে চার দেয়ালের শাদা ঘেরাটো-ে পর মধ্যে জেগে থাকা নৈঃসঙ্গ্য, যেখানে কবির কণ্ঠ ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে। এই ধরনের কবিতা পড়তে পড়তে পাঠকের শরীরে ফুটবে জ্বলন্ত নক্ষত্র, খাস রুদ্ধ হয়ে আসবে, মাথার ভেতর ঢুকে যাবে কুয়াশা। মাসুদুজ্জামানের এ পর্যন্ত প্রকাশিত ৫টি কাব্যগ্রন্থ আর অগ্রন্থিত কবিতা মিলিয়ে প্রকাশিত হলাে এই বই। মানবীয় যাপনের হর্ষ বিষাদ উদ্ভাস আর গহন প্রস্বরে উদ্ভাসিত এই কবিতাগুলি পাঠকের জন্যে প্রসারিত এক সবুজ দিগন্ত।