“হেবা, দান ও উইল-এর নিয়মাবলী” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
হেবার কল্যাণকর বিষয় হলাে, যেকোনাে বিত্তবান ব্যক্তি ব্যক্তিগত ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের পর তার অতিরিক্ত সম্পদ থাকলে তার উচিত অতিরিক্ত মূলধন কোনাে অভাবী ব্যক্তির অভাব মােচনে ব্যয় করা। সমাজে সাম্য আনার চেষ্টা করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হেবা জীবনােপকরণের একটি ভিন্ন প্রক্রিয়া।
চাওয়া ও প্রতীক্ষা ছাড়া এক ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে কিছু লেনদেন করাকেই বলে হেবা।
অন্যদিকে, উইল (testament) বা অছিয়ত হলাে ভবিষ্যৎ দান। কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বা সম্পত্তির মুনাফা কিভাবে বিলি-বন্টন করা হবে তা তার মৃত্যুর পূর্বেই লিখিত বা মৌখিকভাবে নির্ধারণ করে যাওয়ার আইন সম্মত ঘােষণাই হলাে উইল বা অছিয়ত।
‘হেবা, দান ও উইল-এর বিধানাবলী’ পুস্তকটিতে প্রাসঙ্গিক আইনের মূল ধারার যেখানে সংশােধন হইয়াছে সেখানে সংশােধন করা হইয়াছে এবং ধারাগুলির সহিত বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের সুপ্রীম কোর্টের সর্বশেষ সিদ্ধান্তসমূহ সংযােজন করা হইয়াছে। বাংলা এবং ইংরেজি পাশা-পাশি সংযােজনে ভাষাগত ভুল পরিলক্ষিত হইলে সেইক্ষেত্রে মূল আইন যেই ভাষায় রচিত তাহাকেই প্রাধান্য দিতে হইবে।
‘হেবা, দান ও উইল-এর বিধানাবলী’ বইটি সংকলনে বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট, লেখকের বই, অনলাইন পত্রিকা, ব্যাংক ওয়েব সাইট ও আইন সাময়িকীর সহায়তা নেয়া হয়েছে। বইটিতে কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটি ও মুদ্রণজনিত বিভ্রাট পরিদৃষ্ট হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। সহৃদয় পাক-পাঠিকা ও চাকুরিজীবীগণ গঠনমূলক পরামর্শ দিলে এবং তা পরিদৃষ্ট ভুলত্রুটি গােচরীভুত করলে পরবর্তী সংস্করণে তা শােধরানাের একান্ত প্রচেষ্টা থাকবে। পাক সমাজ ও সম্মানিত সরকারি চাকুরিজীবীগণের একান্ত সহযােগীতা ও দোয়া কামনা করছি।