১০০ পারসেন্ট অ্যাডাল্ট

৳ 250.00

লেখক রুবেল কান্তি নাথ
প্রকাশক এশিয়া পাবলিকেশন্স
ভাষা বাংলা
সংস্কার 1st Published, 2020
দেশ বাংলাদেশ

বইয়ের নামেই বলা আছে যে, এটি একটি ১০০ পার্সেন্টেজ অ্যাডাল্ট, রস রচনা সংকলন। সুতরাং দয়া করে, প্রাপ্ত বয়স্করা বইটা এত মনোযোগ সহকারে পড়বেন না। কারণ, বইটা তো চুপিসারে পড়বে–অপ্রাপ্ত বয়স্ক পোলাপানরাই!
আপনি যদি মনে-প্রাণে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হোন, তবে পড়তে পারেন। আমাদের কোনো ওজর-আপত্তি নেই। তবে বইটা পড়ে টাশকি খাবেন না দয়া করে। কারণ, টাশকি খাওয়া কোনো সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন মনুষ্যের পক্ষে শোভা পায় না। আশা করছি, বুঝতে পেরেছেন আমরা কী বলতে চাচ্ছি!…
…স্বনামধন্য এক পত্রিকার সম্পাদক সাহেবকে একবার এক পাঠক জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনার পত্রিকায় সবসময় অশ্লীল লেখা ছাপা হয়। যা আমরা পরিবারের সকলেই পড়তে পারি না। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?’
তিনি জবাব দিয়েছিলেন, ‘আগে আপনি বলুন, বাসর রাতের পরদিন স্বামী-স্ত্রী গোসল করেন কেন?-এই প্রশ্নটি কোনো বাচ্চা আপনাকে জিজ্ঞেস করলে, আপনি সেটার কী জবাব দেবেন?’…
… ‘ওই পোলা, তোর নাম কী?’
‘সাচ্চু।’
‘তোর বাপের নাম?’
‘বাচ্চু।’
‘তোরা কয় ভাই-বোন?’
‘নয় ভাই, দশ বইন।’
‘তোর বাপে কী কাম করে?’
‘ওই কামটাই করে!’

রহস্যপত্রিকা’র অন্যতম জনপ্রিয় লেখক। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ‘সেবা প্রকাশনী’র এই জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকায় লিখে চলেছেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন দক্ষিণ কাট্টলী, চট্টগ্রামে। পেশায় ব্যবসায়ী। লেখালেখি ও বই পড়া তার অন্যতম নেশা। ২৫ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখে চলেছেন। প্রথম আলো, সমকাল ও সংবাদ-এর ফান সাপ্লিমেন্ট আলপিন, প্যাঁচআল ও বাঁশ-এ কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে যুক্ত আছেন, ইত্তেফাক-এর ঠাট্টা, যুগান্তর-এর বিচ্ছু ও খোলা কাগজ-এর বাংলা ওয়াশ-এ। এছাড়াও তিনি নিয়মিত লিখেছেন- আজাদী, সাপ্তাহিক এখন, সাপ্তাহিক ২০০০, সাপ্তাহিক, কিশোর তারকালোক, তারকালোক, আনন্দধারা, আনন্দভূবন, মৌচাকে ঢিল, উন্মাদ, অফলাইন, ও সাতবেলা-সহ বিভিন্ন পত্রিকায়। দীর্ঘসময় লেখালেখি করলেও একক ও যৌথ মিলিয়ে তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা মাত্র ১০টি। কারণ, বই প্রকাশ বা খ্যাতির আশায় তিনি লিখেননি কখনো। মানুষের জন্যই লিখেছেন- আজীবন মানুষের জন্যই লিখতে চান। ‘ভাইজান, আপনি কি পথ হারিয়ে ফেলেছেন? আমার সঙ্গে চলেন। আপনাকে পথ দেখিয়ে দেবো।’ বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কপালকুন্ডলা’ উপন্যাসেও প্রায় একই ডায়ালগ ছিল। নবকুমারকে জিজ্ঞাসা করেছিল কপালকুন্ডলা, ‘পথিক, তুমি কি পথ হারাইয়াছো?’ এই নতুন কপালকুন্ডলার আবির্ভাবে স্বস্তি পেলো ও। ভাবছিল, এ গভীর জঙ্গলে মেয়েটি কীভাবে, কোথা থেকে এলো? এতো বড় সাতাশ বছরের গাধা জঙ্গলের মধ্যে পথ হারিয়ে বসে আছে আর এতোটুকুন একটা পুঁচকে মেয়ে ওকে পথ দেখাবে? তবুও দ্বিধা না করে তার পেছন-পেছনে হাঁটা দিল। মেয়েটি যেভাবে হাঁটছে তাতে বোঝা গেল, পুরো জঙ্গলটাই তার খুব চেনা। তার সঙ্গে হাঁটতে-হাঁটতে অনেক প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে পারল, এই বিরাট পৃথিবীতে তার আপন বলতে কেউ-ই নেই। জন্মের পর থেকে বাবা-মাকে দেখেনি সে। জঙ্গলের পাশে রেললাইনের ধারে সে এক বস্তিতে থাকে এক বিধবার সাথে। ...

দিন-রাত অনেক পরিশ্রম করেও ঠিকমতো দু’বেলা পেট পুরে খেতে পারে না সে। মহিলাটি বিভিন্ন অত্যাচার করে তার উপর। এসব বলতে-বলতে মেয়েটির চোখে জল এসে গেল। দেখে ওর খুব মায়া হলো। একটুও দ্বিধা না করে বলল, ‘তুমি কি আমার সঙ্গে যাবে?’ বুঝতে পারেনি মানুষরুপী এক কালনাগিনীকে স্বেচ্ছায় নিজের ডেরায় নিয়ে যাচ্ছে ও...


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ