বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র

৳ 800.00

লেখক অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী
প্রকাশক আগামী প্রকাশনী
আইএসবিএন
(ISBN)
9789840425051
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩২৮
সংস্কার 1st Published, 2020
দেশ বাংলাদেশ

মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা সম্পর্কে খুব কমসংখ্যক বই ছাপা হয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই নির্দেশনায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধের খবর, গান, নাটক, কথিকা, বজ্রকণ্ঠ, চরমপত্র প্রভৃতি অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা যেমন অনুপ্রেরণা পেয়েছেন, তেমনি এ দেশের মানুষ যুদ্ধে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত হয়েছেন। সেই সব বিষয় নিয়েই এই বই। বইটিতে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা সম্পর্কে পাঠকরা কিছু নতুন তথ্য পাবেন।

অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী ১৯৫২ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার বংশে জন্মগ্রহণ করেন। মাতা বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মঞ্জুশ্রী চৌধুরী, পিতা সিলেটের কৃতী সন্তান শৈলেন্দ্র কুমার চৌধুরী, বড় ভাই অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী, বােন অধ্যাপক ড. মধুশ্রী ভদ্র। স্ত্রী একজন সুগৃহিণী গৌরী চৌধুরী, দুই পুত্র অনির্বাণ চৌধুরী ও সপ্তক চৌধুরী। ড.

চৌধুরী স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন কন্ঠ শিল্পী/শব্দ সৈনিক ছিলেন। ১৯৭৬ সালে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে বি.ডি.এস, ১৯৮২-৮৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলােশিপ এবং ১৯৯২৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক এট নিব্রোক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় ফেলােশিপ লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে অর্জন করেন শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী পি-এইচ.ডি। দীর্ঘ ৩২ বৎসর যাবৎ এদেশের দন্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে বহু প্রকাশনা ও গবেষণা করেছেন এবং এদেশের জনগণের কাছে দন্ত চিকিৎসার বিভিন্ন তথ্য ও রােগ। প্রতিরােধের উপর বেতার টেলিভিশনে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও উপস্থাপনার মাধ্যমে উল্লেখযােগ্য অবদান রেখেছেন। ১৯৮৯ সালে মাদক ও ধূমপান বিরােধী সংগঠন মানস প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ সংগঠনের মাধ্যমে দেশের যুব সম্প্রদায়কে ধূমপান ও মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বেতার ও টেলিভিশনে একজন সফল স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপক। সঙ্গীত জগতে দীর্ঘদিন যাবৎ জড়িত এবং একজন প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী। ইতিমধ্যে ৩টি অডিও সিডি ও একটি ভিসিডি প্রকাশিত হয়েছে। তিনি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রবন্ধ লিখছেন। যাবৎ ধূমপান ও মাদক বিরােধী কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মেডেল লাভ করেন এবং ২০০১ সালে আমেরিকা বায়ােগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট-এর সদস্য পদ লাভ করেন। ইতােমধ্যে ২৪টি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ। উপস্থাপন করেছেন। ইতােমধ্যে ৯টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। মুখ ও দাঁতের রােগের চিকিৎসা ও প্রতিরােধ, ধূমপান ও তামাকের ক্ষয়ক্ষতি এবং মাদক ও মাদকাসক্তির উপর তার রচিত গ্রন্থ সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বর্তমানে বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। পেশায় চিকিৎসক হিসাবে রােগীদের নিয়মিত সেবা প্রদানের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড যেমন: ধুমপান মাদক বিরােধী আন্দোলনে নিজেকে যেমন সক্রিয় রেখেছেন তেমনি বেতার টেলিভিশনে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপস্থাপনা, রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনা ছাড়াও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির কাজেও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ