কেমন হয় তাদের চাওয়া, যাদের হারানোর কিছু নেই? এমনই তিন ড্রাইভার আশকার, জিনারুল আর মজিদ- যারা জীবন থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আর জীবন থেকে ভিক্ষা পাওয়ার দোলাচালে ভুগতে ভুগতে জড়িয়ে যায় এক একটা অদ্ভুত অপরাধে। যেই অপরাধ পরোক্ষভাবে প্রকাশ করে দিতে পারে এক রাষ্ট্রীয় ক্ষত, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের এক প্রাচীন হুমকি। এক কাদা মাখা পদচ্ছাপ খুঁজতে খুঁজতে স্ফিয়েতাও নেমে পড়ে এই চোরাবালিতে। সব পদচ্ছাপ এসে মিলিত হয় এক ‘প্রাচীন বট গাছের’ নিচে। এই ত্রিভুজের তিন কোণের যেখানে সমাপ্তি সেখানেই শুরু ম্যাডাম পার্সিফোনির গর্ব মাখানো চিৎকার- এই উপমহাদেশে আমরা তা-ই আনবো যা আজ থেকে তিন হাজার বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষেরা আনতে পারেনি। যেন জিগ’স পাজলের এক একটা খন্ডাংশ জোড়া লাগানোর তোড়জোড়, কিন্তু কেন?
এই ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি প্রকৃতপক্ষে এক বিরাটাকার ষড়ভুজের ভগ্নাংশ মাত্র।