ঢাবি গ ইউনিট লিখিত সহায়িকা

৳ 320.00

লেখক মো. রেজাউল করিম
প্রকাশক প্যারাগন পাবলিকেশন্স
ভাষা বাংলা
সংস্কার 1st Published, November 2020
দেশ বাংলাদেশ

“ঢাবি গ ইউনিট লিখিত সহায়িকা” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় MCQ-এর পাশাপাশি লিখিত অংশ সংযােজন করা হয় এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে MCQ অংশের নম্বর কমিয়ে লিখিত অংশের নম্বর আরাে বাড়ানাে হয়েছে। অতএব, ভর্তি পরীক্ষায় সফলতা পেতে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই লিখিত অংশের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় ভালাে করতে বাংলা, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং/ফাইন্যান্স সবগুলাে বিষয়ে সমানভাবে দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। শিক্ষার্থীদের সফলতা নিশ্চিত করতে প্যারাগন পাবলিকেশন্স থেকে সব বিষয়ের সম্মিলিত লিখিত সহায়িকা প্রকাশ করা হলাে।
এ বইটিতে বাংলা বিষয়ের সংক্ষিপ্ত রচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ছাড়াও অনুচ্ছেদভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর সংযােজন করা হয়েছে, যাতে নতুন ধরনের প্রশ্ন আসলেও শিক্ষার্থীরা সহজেই উত্তর দিতে পারে।
ইংরেজি অংশে Translation (Bangla to English and English to Bangla), Definition/Explanation of Concept, Precis Writing (Summary Writing), Short Questions বিষয়গুলাের সর্বাধিক সংগ্রহের মাধ্যমে বইটিকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং/ফাইন্যান্স বিষয়গুলাের সকল অধ্যায়ের লিখিত পরীক্ষা উপযােগী। প্রশ্ন ও যথাযথ উত্তর সংযােজন করা হয়েছে।
বইটি পড়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযােগ পেয়ে নিজেদের জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের একমাত্র হল ছিল রোকেয়া হল। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর থেকেই জগন্নাথ হল, ইকবাল হলের স্বাধীনতাকামী ছাত্রদের পাশাপাশি রোকেয়া হলের ৭ জন ছাত্রীও বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ডামি রাইফেল নিয়ে শক্র মোকাবিলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছিল। তাঁরা ২৫ মার্চে হলেই থেকে যান। গণহত্যার তাণ্ডব শুরুর পর-পরই রোকেয়া হলের হাউস টিউটর ৭ জন ছাত্রীকে নিজ কোয়ার্টারের স্টোর রুমে লুকিয়ে রেখেছিলেন। ছাত্রীদের না পেয়ে পাকিস্তানী সেনারা হলের কর্মচারি কোয়ার্টারে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৬ মার্চ ঢাকা শহরে ছিল কারফিউ। ২৭ তারিখে কারফিউ শিথিল করা হলে ঐ ৭ ছাত্রী হলের পেছন দিকে দিয়ে বেরিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাদের-ই একজন সাবিহা ঘটনাক্রমে কুষ্টিয়া জেলা সামরিক আইন প্রশাসকের কার্যালয়ে টাইপিস্ট হিসেবে চাকরি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। তিনি এই সুযোগ কাজে লাগান মুক্তিবাহিনীর জন্য গোয়েন্দাতথ্য সরবরাহের মতো দুঃসাহসী কাজে। প্রতিটি দিন, প্রতিটি তথ্যপাচারের ঘটনাই ছিল শ্বাসরুদ্ধকর।
ধরা পড়ে যান তিনি কুষ্টিয়ায় চূড়ান্ত যুদ্ধ শুরুর ২ দিন আগে ৭ ডিসেম্বর। সাবিহার ঊর্ধর্তন কর্মকর্তা প্রায়-বৃদ্ধ পাঠান সৈনিক সাবিহাকে মেয়ে-জ্ঞান করত। সাবিহা ধরা পড়ার পরে সে চেষ্টা করেছিল সাবিহার সম্ভ্রম রক্ষার জন্য। পারা-না-পারা সেতো ছিল আর এক যুদ্ধ। সাবিহার জীবনে নেমে আসে চূড়ান্ত বিপর্যয়। ১২ ডিসেম্বর পাকিস্তানী ক্যাম্প থেকে অনেক বাঙালি নারীকে উদ্ধার করা হয়। বিজয়ের উল্লাসে কেউ ভাবল সাবিহা বীরঙ্গনা, কেউ ভাবল সে-তো সেনা ক্যাম্পে চাকরি করেছে? তাহলে কি সে শত্রুর সহযোগী? সাবিহাসহ গোটা পরিবারের ওপরে নেমে এল ঘোর অমানিশা।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ