রিপাবনে বিভোরিমা বইয়ের নামটা লেখক এবং গবেষক নাজমীন মর্তুজার মনকানন থেকে এসেছে। রিমা-রিপার সৌজন্যে তাঁর মনকলম থেকে রচিত হয়েছিল এই যুগল শব্দঢেউ। নামটা একটু অদ্ভুত শোনালেও রিমা-রিপার কাছে তা অদ্ভুত সুন্দর হয়ে ধরা দিয়েছে। যেহেতু দুজন মিলে একটি জমজ। বই-প্রচ্ছদেও জমজ আবহ সেই অর্থে নামটি অর্থবহ। আবার নামটা ভাঙলেও কবিতার বিষয়াদি পাওয়া যায়-বন ও বিভোর। বইটির অধিকাংশ কবিতা প্রকৃতি প্রকারন্তরে বন। আর তার মাধ্যমেই এসেছে-সবাই পাহাড় হতে চায় অথচ পাহাড়রা খুব একা হয় সেই ব্যথা। এসেছে-যে প্রবালের জল বিলকে করে পরিপূর্ণ সেই প্রবালের নিরন্তর বয়ে যাবার নিজস্ব বেদনাও। এসেছে-যে চাপকল সবারই তিয়াস মেটায় সেই কলেরও তিয়াস আছে সেই বার্তা। এসেছে-পাখিকে আকাশে মরতে দেখি না কখনো! মানুষ বা পাখি-পরাজয় এমনই। এমন করেই বইটিতে প্রকৃতির অবয়বে এসেছে মানুষের জীবনের প্রেম, জীবনবোধ এবং উপলব্ধির বিভোরতা। এসেছে, কবিদ্বয়ের একুশ বছর বয়স থেকে তুমুল তিরিশে পর্যন্ত লিখে আসা মন ও জগতের ধারাবাহিক রূপরেখা। একুশের বইমেলাতে একুশ দু-গুণে কবিতা নিয়ে একুশে অক্টোবর নবযাত্রা হলো কবি জাহান রিমা এবং জাহান রিপার ‘রিপাবনে বিভোরিমা’র।