সেতারে মালকোশ

৳ 750.00

লেখক মারুফ রসূল
প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স
আইএসবিএন
(ISBN)
9789846345490
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৪৩১
সংস্কার 1st Published, 2021
দেশ বাংলাদেশ

উপন্যাসটি সার্বিকভাবে কিছু সম্পর্কের গল্প। এই সম্পর্কগুলাে যেমন প্রচলিত, তেমনি অপ্রচলিতও বটে। জয় এবং জয়ন্তীর দাম্পত্যজীবনকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের আখ্যান রচিত। এই দাম্পত্য খানিকটা হাইপােথেটিক্যাল হলেও বাস্তবতা বিবর্জিত নয়। তবে সবকিছুর সঙ্গে যে বিষয়টি এই উপন্যাসে প্রাধান্য পেয়েছে, তা হলাে— বিশুদ্ধতা বা পরম সৌন্দর্য। সুন্দরের ধারণাও ব্যক্তি-স্থান-কাল-পাত্র দ্বারা সংজ্ঞায়িত। কিন্তু বিশুদ্ধ সন্দর এ সবকিছুর ঊর্ধ্বে। মানুষ তার বিবর্তনের ইতিহাসে সুন্দরের একটি ধারণা নির্মাণ করেছে। যার সঙ্গে হয়তাে বা সৌন্দর্যের তত্ত্বটি মিলবে না। সেতারে মালকোশ উপন্যাসে সেই বিশুদ্ধ সৌন্দর্যের ধারণাটিকেই ফুটিয়ে তােলা হয়েছে। পরম কোনাে কিছুই আসলে বাস্তবের অনুগামী নয়; অন্তত মানুষ যে বাস্তব তৈরি করেছে। পরমের একটি নিজস্ব ধারা আছে, সবসময় সমাজ বা পৃথিবী সেটা ধারণ করতে পারে না, সমাজের মতে তা সুবিধাজনকও নয়।

মারুফ রসূল বাঙলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনীতি সচেতন লেখক; তিনি ঔপন্যাসিক, গল্পকার, রাজনীতি বিশ্লেষক এবং সমালোচক। তাঁর রচনা অন্তর্ভেদী, তীব্রভাবে সংবেদনশীল এবং নানাভাবে আলোচিত-সমালোচিত। ইতিহাস, সমকালীন রাজনীতি, সাহিত্য ও চলচ্চিত্র বিষয়ে গবেষণামূলক ব্লগিং এর জন্যে তিনি যুগপৎ নন্দিত ও নিন্দিত। জন্ম ১৯ ফাল্গুন ১৩৯৩: ০৩ মার্চ ১৯৮৭ ঢাকায়। পড়াশুনা করেছেন গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে তিনি ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। তাই ধর্মনিরপেক্ষ ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নানা আন্দোলনে তিনি সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৩ সালের ০৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান দুনিয়া কাঁপানো শাহাবাগ আন্দোলনের তিনি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক। এই আন্দোলনের নানা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তৈরিতে তিনিই মূল উদ্যোক্তা হিশেবে কাজ করেছেন। এই আন্দোলনের ইতিহাস তাঁর রচনার মধ্য দিয়েই ক্রমান্বয়ে লিখিত হচ্ছে। চলমান শাহাবাগ আন্দোলনের নানা বিষয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপনার ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রসর ভূমিকা পালন করে চলেছেন। মারুফ রসূল বিশ্বাস করেন, শিল্প হলো একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। বস্তুত এ কারণেই তাঁর রচনার প্রাণ হয়ে উঠে মানুষ। রাজনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে রচিত তাঁর সাহিত্যকর্মগুলো তাই শেষ পর্যন্ত মানুষের কণ্ঠস্বর- যে মানুষ নির্মাণ করে ইতিহাস, গতিশীল করে সভ্যতাকে- সে-ই মানুষই মারুফ রসূলের শিল্পসত্তার স্থপতি। দর্শনকে তিনি সাহিত্যে রূপ দিয়ে ছড়িয়ে দিতে চান মানুষের মধ্যে, কারণ তিনি কেবল এবং কেবলমাত্র বিশ্বাস করেন মানুষের পবিত্রতম উদ্বোধন আর যূথবদ্ধ জীবনাচরণে। সাহিত্যে তিনি নিজস্ব একটি ধারা তৈরি করে চলেছেন- তাঁর শব্দচয়ন তাই তাঁরই জীবনবোধের মতো রক্তাক্ত, তীব্র এবং স্বপ্নময়। ব্লগিং এর ক্ষেত্রেও তিনি অপ্রতিম একটি ধারা সৃষ্টি করেছেন, যা আবেগাক্রান্ত হলেও নিষ্ঠুরভাবে নির্মোহ। শিল্পকে রাজনীতির শক্তিশালী হাতিয়ার জেনেই এখনও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মিছিলের কণ্ঠস্বরকে তিনি যেমন তুলে আনছেন সাহিত্যে, তেমনি প্রতিবাদের দীপ্র মশাল জ্বেলে এগিয়ে যাচ্ছেন আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্রেরও দিকে। শিল্পের নানা শাখা কাজ করার ব্রত নিয়ে তিনি প্রতিদিন যেমন নির্মাণ করছেন নিজেকে, তেমনি ভাঙছেনও দিনরাত। বস্তুত এ কারণেই তাঁর চলার পথ এখনও কঠিন, বিপদশঙ্কুল, বাধা-বিপত্তিময় হলেও সত্য। আদর্শের প্রতি এই নিখাদ সততাটুকুই তাঁর একমাত্র সম্বল। এছাড়া মারুফ রসূলের আর কিছুই নেই।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ