পনেরো বছর বয়সী ইংল্যান্ডের এক কিশোরী লুসি। সমাজের চোখে সে নষ্ট, পথভ্রষ্ট। এই বয়সেই সে প্রেগন্যান্ট হয়ে বসে আছে। শুধু তাই না, বাচ্চার বাবার সম্পর্কে কোনো খবর তার কাছ থেকে বের করা যাচ্ছেনা। সোশ্যাল ওয়ার্কার, পুলিশ, স্কুল সবাই লুসিকে নিয়ে উদগ্রীব। ধারণা করা হচ্ছে লুসি কোনো বিশাল গ্যাংয়ের সাথে জড়িত, তাদের দ্বারা নিপীড়িত। কিন্তু নষ্ট মেয়ে লুসির যেন এসব ব্যাপারে কোনো দৃকপাতই নেই। নিয়তির টানে লুসির কেসের দায়িত্ব সোশ্যাল ওয়ার্কার মিলির উপর এসে পড়ে। বাংলাদেশ থেকে বিয়ে হয়ে ইংল্যান্ডে আসা মিলির নিজের জীবনের যুদ্ধই বা কম কী? মিলি কি পারবে লুসির কেস সামাল দিতে? আর মিলির একমাত্র ছেলে আবিদ, লুসির স্কুলেরই এক আদর্শ ছাত্র। বাইরে থেকে সেই ধীর, স্থির আর আদর্শ ছেলেটার মনের ভিতরে যে উত্তাল সমুদ্র তার কী হবে? আর এই তিন চরিত্রের যোগসূত্র, টানাপড়েন, মান অভিমানের মাঝে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে কর্মঠ, দায়িত্ববান আর ভীষণ হ্যান্ডসাম পুলিশ অফিসার ডেভিড। ডেভিড কি শুধুই লুসির কেসের জট খোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, নাকি আরও কোনো ব্যাপার আছে? এই উপন্যাস হলো এই চার চরিত্রের জীবনযুদ্ধের গল্প, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, মান-অভিমান আর রোমান্সের গল্প, বর্তমান সমাজের কিছু প্রকট সমস্যার গল্প, আর সব কিছু ছাড়িয়ে মাতৃত্বের গল্প।