“একাত্তরের শোকগাথা” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
অতীতকে স্মরণে রেখেই রচিত হয় মানুষের সামনে চলার পথ। ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কষ্টের কথাগুলাে ভুলে গেলে বা উপেক্ষা করলে কোনাে অর্জনই অর্থবহ বা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে সর্বস্তরের মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের রক্তঝরা দিনগুলাের কথা আমাদের মন থেকে মুছে গেলে প্রিয় স্বদেশের স্বাধীনতার প্রতিও শ্রদ্ধা, ভালােবাসা এবং একে রক্ষার জন্য অঙ্গীকারবােধ ঠুনকো হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এখন বাস্তবতা এমন যে, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিশেষ করে ‘৭১ মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগ্রামী দিনগুলাের অনেক স্মৃতি মানুষের মন থেকে ক্রমেই মুছে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধকালীন হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিভীষিকায় তাণ্ডবের কর্থা শুনে হতবাক হয়ে যায়- যেন এ দেশে সে রকম কিছুই ঘটেনি । ‘৭১-এর ধ্বংসযজ্ঞের বিক্ষিপ্ত এবং অকথিত স্মৃতিকথাগুলাে সংগ্রহ করে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার প্রয়ােজনীয়তা লেখক অনুভব করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে। তারই বাস্তব রূপ এ গ্রন্থটি। বইটি পড়ে সংশ্লিষ্ট সবাই যুদ্ধকালে মুক্তিযােদ্ধা ও সাধারণ মানুষের ত্যাগের ইতিহাসসহ দেশের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন।