আজকের শিশু-কিশোর আগামী দিনে জাতির ভবিষ্যৎ কারিগর। কাজেই তাদের জীবন ফুলের মতো পবিত্র করতে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। যেহেতু ছোটোরা গল্প পড়তে, শুনতে খুবই ভালোবাসে, তাই তাদেরকে গল্পে গল্পে নৈতিকতা শেখানো কার্যকরী উপায়। আমাদের সমাজে গল্পে গল্পে বাচ্চাদের শেখানো নতুন কিছু নয়। মুরব্বিরা গল্পের ছলে বাচ্চাদেরকে মিথ্যা কথা না-বলা, বন্ধু বা সমবয়সিদের কষ্ট না-দেওয়া, বড়োদের সম্মান করাসহ নীতি-নৈতিকতা শেখাতেন। এর মাধ্যমে বাচ্চারা ছোটো থেকেই নৈতিক চরিত্রে চরিত্রবান হতো। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায়, ছোটোদের ঘুম পাড়াতে বা তাদের খুশি করতে কেউ কেউ রূপকথার গল্প, ভূত-প্রেতের গল্প, ডাইনি-বুড়ির গল্পসহ মনগড়া কিচ্ছা-কাহিনি শোনান, যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। এসব রূপকথা শুনে বা পড়ে কোমলমতি শিশুদের মন মিথ্যাপ্রিয় হয়ে ওঠে। নীতিনৈতিকতা হারাতে শুরু করে। অন্যায়-অপরাধের দিকে ধাবিত হতে থাকে। তাই আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে ইসলামি গল্পগুচ্ছ শেখানোর বিকল্প নেই। এজন্য বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে এমন সব গল্প সেসব যেমন সত্য, তেমনি রূপকথার চেয়েও রোমাঞ্চকর। সততা এবং ন্যায়নিষ্ঠায় ভরপুর। নীতিনৈতিকতা শেখার সহজ পদ্ধতি। পাশাপাশি লক্ষ রাখা হয়েছে বাচ্চাদের ভাষা-সাহিত্য চর্চা ও নৈতিক চরিত্র গঠনের সমন্বিত পদক্ষেপর দিকেও। আশা করি, বক্ষ্যমাণ গ্রন্থের প্রতিটি গল্প শিশুদের মন জয় করবে, ইনশাআল্লাহ।