প্রেম দুরন্ত ব্যাধি। প্রেম অনন্ত সুখ। প্রেম সমুদ্রের ঢেউ। প্রেম তীব্র কাটা, প্রেমের। সেই অনন্ত প্রেমের একজোড়া প্রেমিক শুভ আর কণা। শুভ অবস্থাপন্ন পরিবারের আদরের ছেলে। কণা কষ্ট সহিষ্ণু পরিবারের সুন্দরী। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দু’জনে মগ্ন, গভীর প্রেমের বাধা বন্ধনহীন স্রোতের তােড়ে। বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে যায় কক্সবাজারে। ভ্রমণ করে সমুদ্র সৈকত। রাতে ফিরে আসে হােটেলে। পবিত্র ধর্মের প্রতি নিবেদন রেখে ডুবে যায় ভালােবাসার গভীর সমুদ্রে। ঢাকায় ফিরে এলে হঠাৎ দেখা হয় শুভর সঙ্গে এ্যানির। শুভর বাবার বন্ধু বিশিষ্ট শিল্পপতির কন্যা এ্যানি। মানুষ পাল্টে যায়, মানুষ মানুষের মাংস খুবলে খায়। স্বার্থের দোলায় চড়ে পেছনটা ভুলে যায়। ভালােবাসায় টালমাটাল ‘মায়াবী সর্বনাশ’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শুভও পাল্টে যায়। রঙিন ফ্রেমে দেখে বিলাসী জীবন আর কামনায় মদির প্রবল স্রোতের ধারায়। কি হবে কণার? কণা প্রেমের প্রতিদানে নিজেকে সাজায় মায়াবী রূপে। কিন্তু উপন্যাসিক হাসান মনি ম্যাজিক দেখান শেষ প্রান্তে এসে। হিসাব মেলে না হিসেবের। এ্যানি চলে যায় বিদেশে। আর শুভর পরিণতি? পাঠের আগে জানা ঠিক হবে না। এটুকু বলা যায়, হাসান মনি’র চতুর্থ উপন্যাস ‘মায়াবী সর্বনাশ’ পাঠ করতে শুরু করলে, শেষ না করে ঘুমুতে পারবেন না।