দেশ-বিদেশ ভ্রমণের মাধ্যমে যেমন চিত্তবিনোদন ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করা যায় তেমনিভাবে শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভা-ারকেও সমৃদ্ধ করা যায় তাতে কোনো সন্দেহ নাই। এই বইয়ের লেখক ছোটবেলায় আকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন দেখতেন (যখন তিনি বাস, ট্রেন, বিমান ভ্রমণ তো দূরের কথা এগুলি দেখতে কেমন তাও জানতেন না) যা পরবর্তীতে আংশিক হলেও পূরণ হয়েছে। আমরা বিজ্ঞ ব্যক্তিদের ভ্রমণ কাহিনী পড়ে থাকি। যেমন সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশ বিদেশে’ ও আবদুই হাইয়ের ‘বিলেতে সাড়ে সাতশত দিন’ যা যে কোনো তরুণ-তরুণীর মনকে দেশ ভ্রমণের জন্য অনুপ্রাণিত করে। অগোছানো হলেও লেখক তার বইয়ের মাধ্যমে বিশেষকরে ভবিষ্যত প্রজন্মকে তাদের জ্ঞান ভা-ার সমৃদ্ধির একসুপ্ত আহ্বান জানিয়েছেন। যেমন তার লেখা ‘বিলেতের একাল-সেকাল ও কূটনীতির স্বাদ’ গ্রন্থটি পাঠ করলে যেমন পাঠকের মনে আইফেল টাওয়ার, লুভোমিউজিয়াম, স্ট্যাচু অব লিবার্টি, ম্যাডাম টুসা, গ্রেট ওয়াল, স্টোন হেঞ্জ সম্পর্কে একটা ধারণার সৃষ্টি করতে পারে যা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো হলেই বা কম কি? তাই ভ্রমণকে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির একা যোগ্য বাহক হিসেবে গণ্য করাই যায়। তবে লেখকের বর্তমান বইটি সে লক্ষ্য পূরণে কতটা সফল তা সম্মানিত পাঠকবৃন্দই বিচার করবেন।