‘সূত্রধর’ এক পরাবাস্তব ভূখণ্ডের গল্প, যেখানে পায়ের নীচে মাটি নেই, মাথার উপরে আকাশটা। প্রায় মাথা ছুঁয়ে থাকা কংক্রিটের জঞ্জাল, তাই মাথা উঁচু করা যায় না, সামনে-পেছনে-চারপাশে বাতাসহীন জলের বুদবুদ, সেই বুদবুদে দম হয়তাে নেওয়া যায়, জীবনও হয় যাপিত; তারপরও কেউ কেউ বুঝতে পারেন এ ভূখণ্ড তারা আসলে ফেলে এসেছিলেন অনেক বছর আগে; একদিন শ্যামলে সুন্দরে-সবুজে ঘর বেঁধেছিলেন তারা, কিন্তু ঘােড়ায় চড়ে এবং শূন্যে ভাসা বহুমুখি সেতুগুলাে পেরিয়ে ফেলে আসা ও বাতিল করে দেওয়া অতীত কীভাবে কীভাবে আবার প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে। বেঁধে শরীরে-মনে-মগজে ঢুকে পড়েছে; তাই এখন বধির কিংবা নৈঃশব্দকাল , কেউ অস্ত্রোপচারে কেউ অস্ত্রোপচার ছাড়াই– পা-সকল উল্টোদিকে কিংবা পা-সব ঠিকই আছে, বরং চোখগুলাে পেছনে অথবা স্বেচ্ছাঅন্ধত্ব; তারপরও হয়তাে মা বলেই। পাহাড়ের ওপাশে লুকিয়ে থাকা আলাের খোঁজ। করেন রােজি রােজারিও, সূত্রধর’ তাই শেষ পর্যন্ত এক ‘মা’র গল্প, পৌরাণিক যুগ থেকে পুনর্জন্ম নেওয়া এক মা।