জাতীয় জীবনের এমন এক মাহেন্দ্রমুহূর্তে এই কবিতাসমগ্র প্রকাশিত হচ্ছে যখন আমরা উদ্যাপন করছি জাতিরাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং অতি-আসন্ন ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর ।তারিক সুজাতের কবিতাভুবন তো এই স্মৃতি-সন্তা-ভবিষ্যতের কাব্যিক আলেখ্য—বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাসের শৈল্পিক সন্দর্ভের মিলিত রসায়ন । অক্ষর তাঁর কাছে কেবল অক্ষর নয়, সুরেলা কবচ।শব্দ এই কবির প্রাণপঙ্খি, মনময়ূরী। তাই তাঁরকবিতা হয়ে ওঠে নির্মাণের অধিক সৃষ্টি প্রাণপ্রকৃতির, মহাবিশ্বের মায়ালু কূজনকে তিনি প্রেম-প্রতিবাদ-প্রতিরোধের অবয়বে সংকলন করে চলেন। তাঁর জনচেতনার কাব্যগাথা যেমন প্রতিবাদের প্রগাঢ় উচ্চারণে দৃঢ় হওয়া সত্ত্বেও স্লোগান হয়ে ওঠে না তেমনি তাঁর ভালোবাসার কবিতাও সমষ্টিসংকল্প-রহিত নয়। উভয় সড়কের তিনি স্বচ্ছন্দ সওয়ারি। বোমায় বিধ্বস্ত বাস্তব আর বকুলঘ্রাণের স্বপ্নকে তিনি সমান্তরালে তাঁর কবিতার কেন্দ্র করে তুলেন।প্রিয় পাঠকের কাছে কবির নম্বরক্তিম নিবেদন- “ব্যক্তিগত কিছু নেই যা ছিল অন্তরে তার দাঁড়ি, কমা, চন্দ্রবিন্দু আগেই উজাড় করে দিয়েছি। রোদের বুননে লেখা দুপুরের পাণ্ডুলিপি পাচটি আঙুল তুলে অনন্তকে ডাকে।” কবিতার এই অনন্তভ্রমণে আপনাকে স্বাগত।