আজ ২রা ফাগুন মাত্র একটি দিনের ব্যবধানে নীলাদ্রির পৃথিবীটা যেন রঙহীন ধূসর বিবর্ণ হয়ে গেছে। যেন নীলাদ্রির বুক জুড়ে আজ কেবল চৈত্রের খাণ্ডব দাহ। তার পকেটে সযত্নে ভাঁজ করে রাখা আছে লাবণ্যের লেখা শেষ কবিতাটি। যা পহেলা ফাল্গুনের সন্ধ্যায় ফাগুনের রঙে সজ্জিত লাবণ্যের যন্ত্রণাকাতর হাত থেকে নিলাদ্রি পেয়েছিল যখন লাবণ্য কথা বলার বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। লাবণ্যের হাত থেকে তার লেখা শেষ কবিতাটা পকেটে গুঁজে লাবণ্যকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল নীলাদ্রি।
আজ বার বার সেই কবিতাটিই পড়ছে নীলাদ্রি। পড়তে পড়তে পুরো কবিতাটিই যেন নীলাদ্রি মুখস্ত করে ফেলেছে। অথচ নীলাদ্রি জানতোইনা লাবণ্য এত ভালো কবিতা লিখে। লাবণ্য কতবার নীলাদ্রিকে অনেক আগ্রহ নিয়ে তার লিখা কবিতা শোনাতে চেয়েছে কিন্তু কবিতা বিমুখ নীলাদ্রির অনাগ্রহের কারণে কবিতা শোনানো হয়নি কখনো লাবণ্যের।