সারসংক্ষেপ
‘আমি বাঁচতে চাই শান্তনু, তোমাকে ছেড়ে আমার মরতে ইচ্ছে করে না।’ হাসপাতালের বেডে শুয়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত তিথির ভিডিও কলে আকুল আর্তনাদ। শান্তনু অসহায়, চোখে জল অবিশ্রান্ত। এক সময় তিথি চলে যায়। না ফেরার দেশে।শান্তনু স্হবির।মানসিক বিপর্যস্ত।
তিথির স্মৃতির কবল থেকে এক পর্যায়ে পালিয়ে আসে শিমুলতলায়।
স্বপ্নাতুর তিথি স্বপ্ন দেখতো শিমুলতলায় হবে ওদের মধুচন্দ্রিমা। শিমুলতলা রুপকথার রাজ্য। পরী রাজ্য। সুষমা মন্ডিত।
অনবদ্য শিল্প বিহার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। শিমুলতলা বাঙ্গালীর সিমলা এবং পশ্চিম বলে খ্যাত। অনিন্দ্য সুন্দর শিমুলতলায় এসে শান্তনুর পরিচয় হয়,অরণ্যের দুহিতা নিশি নামের এক রুপকথার রাজকন্যার সাথে।
সবুজ শ্যামল শিমুলতলার পাহাড়, জলপ্রপাত, ঝিরির মাঝে যার আবাস।
পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম, এক সময় গভীর প্রেম। তিথিকে ছাপিয়ে নিশি দেদীপ্যমান।
‘শান্তনু, তুমি এলে আমার জীবনে উদ্ভাসিত আলোর রথে চড়ে।আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি, তুমি আমার জীবনের প্রথম প্রেম শান্তনু।’
নিশি নিমজ্জিত শান্তনুর প্রেমে।
এরপর… কোথায় হারলে শ্যাম উপন্যাসে প্রস্ফুটিত হয়েছে শিমুলতলা, গিরিডি, মধুপুরের যাপিত জীবন। নৃগোষ্ঠী তথা এই জনপদের মানুষের দর্শন, প্রেম, যৌনতা, ধর্ম, সংস্কৃতি, দুঃখ-বেদনা, হাসি-কান্না।
রামায়ণের পৌরাণিক কাহিনী।
শিমুলতলা প্রাকৃতিক শোভায় অনুপম যুগপৎ অরণ্যবাসীদের জীবন সংগ্রাম দুঃখজর্জর।কঠিন বাস্তব পেষণে পিষ্ট। সুনিপুণ লেখনীতে লেখক তার নির্যাস তোলে এনেছেন।
আশাকরি বইটা পাঠকপ্রিয়তা পাবে।