গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বাংলার রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতিতে আগমন না হলে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আজো অর্জিত হতো না। কেননা ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। ব্রিটিশ শাসনের ১৯০ বছরেও তা আর ফিরে পাওয়া যায় নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর রাজনৈতিক সংকট ও জাতিতাত্ত্বিক ধারণা প্রভাব বিস্তার করলেও বাঙালির প্রয়োজন হয়ে পড়ে একজন সাহসী নেতার। ঠিক তখনই বাঙালির রাজনীতির ভাগ্যাকাশে ধূমকেতুর মতো উদয় হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর বলিষ্ঠ, দৃঢ়চিত্ত, সৎ, দেশপ্রেমের চেতনায় জাতিসত্ত্বাবোধ এবং জাতীয়তাবোধের দৃঢ়প্রত্যয়ে বাঙালি গড়ে তোলে তাদের দুর্বার আন্দোলন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কথা মনে হলেই ভেসে ওঠে এটি দেশ, একটি মানচিত্র, একটি পতাকার ছবি। বাঙালি জাতির গৌরব মহান এ নেতা দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়। তারপরও ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে ‘৭৫-এর ১৫ই আগস্ট স্বপরিবারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
ছাত্র থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে নিঃস্বার্থ অবদান রেখে।