ফ্ল্যাপ থেকে-
পারস্পরিক সহযোগিতা মৈত্রী বন্ধনের মূলসূত্র। সংকীর্ণতা, স্বার্থবোধ, অসুন্দর, অকল্যাণ, অবক্ষয় সমাজকে গ্রাস করে। পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো ব্যক্তি ও সমাজকে আরো পেছনে ধাবিত করে। এগুনোর ম‚ল মন্ত্র হলো তৃষ্ণা। আর এই তৃষ্ণা জাগ্রত থাকলে সুশোভিত, কল্যাণময় ন্যায়ের সমাজ বিনির্মিত হবে এবং সেই বোধ থেকেই “তিয়াসা“ গল্পগ্রন্থের গল্পগুলো কখনো ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছে, কখনো বা তৃষিত হৃদয়ের কথা বলেছে, কখনো স্বপ্ন বুনে চলেছে, রিক্ততার মাঝেও তিয়াস জাগ্রত হতে দেখা যায়।
তিয়াসা যেমন দশ নম্বরের ব্যথায় নিঃশেষ না হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জীবনের মাঝ পথে। তেমনি কোহিনূর জীবনের শুরুতেই পরাজিত হয়েও জয়ের পথে হেঁটেছে। আমাদের সমাজে শুধু নারীর গল্প না, পুরুষদেরও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প থাকে। তাই তো সুরুজ মিয়া চায়ের ঘ্রাণে স্বপ্ন বুনে। তৃষিত হৃদয়ের রত্না, শিল্পীদের মতো গুণী নারীরা সংসারে আদৌ কি স্বীকৃতি পায়? নাকি স্বীকৃতি আজও দরপত্রের মতো ওঠা-নামা করে? স্বীকৃতি আছে আবার নেই।
ভালোবাসা অনেক সময় অসম্ভবকে সম্ভব করে। হলুদ খামের ভেতরে থাকা কথাগুলো সত্যি হলো। নদীর অভিমানে ভালোবাসার সাগরে হয় ক্ষরণ চলে দহন। প্রেমা, হৃদিতা, আদ্রিতারা ভালোবাসায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে। তবুও স্বপ্নে তৃষ্ণা জেগে রয়। দগ্ধতায় কি বেনারসি আল্পনা আঁকা যায়? অদ্রি কি আঁকতে পেরেছিলো শেষ পর্যন্ত?
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, সবটুকুর স্বাদ রয়েছে গল্পগ্রন্থ ‘তিয়াসা’র পাতায় পাতায়।