জীবনকে অন্তর্গতভাবে দেখার চোখ সকলের থাকে না। কিংবা অনভূতির ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সীমানায় স্থাপন করার শক্তিও থাকে সীমাবদ্ধ। সমাজ ও জীবনকে অবলোকন করার মধ্যে যে শিল্পীসত্তা আপন মহিমায় জেগে থাকে, তার বহির্প্রকাশের নিরঙ্কুশ মুন্সিয়ানাই একজন কবিকে স্বতন্ত্র সৌন্দর্যে ভাস্বর করে তোলে। পলি রহমান তেমনি একজন কবি। নারী যে শুধু পুরুষের কামনার বস্তু নয়, মানবিকতার প্রতীকও, যার কাছে শরীরের চেয়ে প্রাণের মূল্য অনেক বেশি, পলি তার কাব্যগ্রন্থ ‘মাটির ঢ্যালা’তে তারই শৈল্পিক প্রকাশ ঘটিয়ে তা প্রমাণ করেছেন। শিল্পের দাবি মিটিয়ে প্রাণের অন্তর্গত চাওয়াকে তিনি সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত দক্ষতায় প্রকাশ করেছেন।