‘ছুটতে ছুটতে আমি ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে এসেছি। বাড়িতে বসে ট্যাক্সি কল করলে অন্তত দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হতো। আমার হাতে এখন নষ্ট করার মতো দশ মিনিট সময় নেই’…
‘চারপাশ দেখে বুঝতে পারল সবিতা একটা এম্বুলেন্সে আছে। সামনেই মেয়ে সামিয়া, ওর হাত ধরে বসে আছে অপূর্ব সুন্দর একটা ছেলে’…
‘আমার মাকে যেদিন আমার সামনেই তরল আগুনে দগ্ধ করা হয়েছিল, সেদিন থেকে বুকের মাঝে আমি এক দহন বয়ে বেড়াই’…
‘ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে দেখলাম সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে। প্রতিদিন পাঁচটায় এলার্ম বাজে, আজ কী তাহলে বাজেনি’… ‘হ্যালো আলিয়া, ক্যাথরিন বলছি। আমার মা কি আর নেই? না, মানে উনি এখনো লাইফ সাপোর্টে মারিয়া’…
উপরের অংশগুলো এই বইয়ের কয়েকটি গল্পের কিছু অংশ। রহস্য, বন্ধুত্ব, আত্মত্যাগ, প্রেম, ভালোবাসা, প্রতিশোধ, অলৌকিক জীবন রহস্য এমন নানান বিষয় খুঁজে পাওয়া যাবে এই গল্পগুলোয়।
এর মূল সুর আসলে জীবন, যাকে ঘিরে রেখেছে কখনো গভীর ভালোবাসা, কখনো রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা, কখনো অন্ধকার আবার কখনো একেবারেই নিখাদ ভালোবাসা।
আদতে পুরোটাই এক নিরবিচ্ছিন্ন আখ্যান যার পাতায় পাতায় অনুভ‚তির খেলা।
দুই মলাটে বাঁধা অদ্ভুত নীল এক কস্তুরী আভার চাঁদ! আসুন! এই আলো আঁধারের অনন্ত পারাবারে আপনাকে স্বাগত।