বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে ভিনজেলের যোগাযোগের মাধ্যম একটাই- ওর কামরার একমাত্র বড় জানালাটি। দাদী ওকে বাইরে বের হতে দেন না বলে এই জানালা দিয়ে সে এই সুন্দর পৃথিবী দেখার তৃষ্ণা মেটায়। ভিনজেলের পরিবার-পরিজন বলতে একমাত্র দাদিই আছেন। ওর বাবা-মা কোথায় আছে, কেন ওর সাথে নেই, কি হয়েছিল- দাদী কখনো এসবের কিছুই তাকে বলেন নি। ভিনজেলের বয়স যখন এগারো তখন একদিন গ্রেভিয়ারস উইচক্র্যাফট ও উইজার্ডি’ স্কুলের প্রিন্সিপাল এডল্ফ এডেলস্টেইন এলেন ওদের বাড়িতে। তিনি দাদীর কাছে ভিনজেলের গ্রেভিয়ারসে পড়াশোনার প্রস্তাব দিলে, ঘরের দুয়ার পেরিয়ে শুরু হলো ভিনজেলের জীবনের নতুন অধ্যায় স্কুলে যাওয়ার পর ভিনজেল খেয়াল করল ওর দু চোখের দু’রকম রঙ দেখে অনেকেই ওকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারে। একদিন স্কুলের পাশের নিষিদ্ধ বনে ভিনজেল এক সবুজ অগ্নি স্ফুলিঙ্গ দেখতে পেল। সেই অগ্নি স্ফুলিঙ্গ তাকে যেন কোথায় নিয়ে যেতে চায়। এক অদম্য কৌতূহলের বশে কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে স্ফুলিঙ্গটাকে অনুসরণ করে নিষিদ্ধ বনের ভেতরে চলে যায় সে।
অগ্নি স্ফুলিঙ্গটা ভিনজেলকে কোথায় নিয়ে যাবে? বিপদের দিকে নাকি সাহায্যের দিকে!