ফ্ল্যাপের লেখা:
পৃথিবী যত আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হচ্ছে মানুষ তত পরিবর্তন হচ্ছে। এককথায় বললে মানুষের আবেগীয় গুনাবলী, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত ধ্বংশের দিকে ধাবিত করছে। শেকড় ভুলে যাচ্ছে মানুষ। বৈশ্বয়িক মহামারিতে বিষয়টি প্রতিয়মান হয়েছে। মানুষ প্রতিদিন নিয়ম তৈরি করছে পূর্বের নিয়ম ভঙ্গ করে। যন্ত্রে পরিণত হয়েছে মানুষ। বসন্তের কুটুম নাটকটির বিষয়বস্তু মানুষের এই আকস্মিক পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে। পশু পাখি পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে অদ্যবদি চারিত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যেমন একটি কুকুর এখনও পর্যন্ত মালিক ভক্ত অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত রাত্রি জেগে মালিককে পাহাড়া দেয়। একটি কাকের মৃত্যুতে আশেপাশের সব কাক জড়ো হয় এখনও। কিন্তু মানুষ পাশের ফ্ল্যাটের কেউ মৃত্যুবরণ করলে দেখার সময়ও পায় না। বসন্তের কুটুম’ গল্পে মানুষ, ভূত এবং শেষ নবাবদের মাঝে ব্যবসায়িক চুক্তি হয়। ভূত এবং শেষ নবাবগণ চুক্তি অনুযায়ী ব্যবসা সম্পাদন করেন কিন্তু আধুনিক যুগের মানুষ তাদের কুটিল বুদ্ধি দিয়ে সকলকে ঠকায় আধুনিক যুগের মানুষ, ভূত এবং শেষ নবাবদের মধ্যে ত্রিমুখি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কমেডি নির্ভর নানান ঘটনার চিত্র ফুটে উঠেছে ‘বসন্তের কুটুম’ নাটকে।