দোতালার ব্যালকনিতে এসে থমকে দাঁড়ায় আসিফ। বাহ! বেশ চমৎকার মেয়েতাে ! কে এই ললনা? আসিফ খালার বাসায় বেড়াতে এসে আবিষ্কার করে মােহনাকে। মােহনা সেখানে লজিং থেকে ভার্সিটি পড়াশােনা করছে। প্রথম দেখাতেই বুকের বাম পার্শ্বে মােচড় দিয়ে ওঠে আসিফের। পাশাপাশি কাছাকাছি মিশতে মিশতে একজন হয়ে উঠে আরেক জনের পরিপূরক। ভালােলাগা থেকে জন্ম নেয় ভালােবাসার। ভালােবাসাকে আলিঙ্গন করার পাপে মােহনা হয়ে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা। আসিফ জানেনা মােহনা অন্তঃসত্ত্বা। সে আনন্দ ভ্রমণে বিদেশ ওর ফুফুর বাসায় বেড়াতে যায় ।এদিকে শুরু হয় অন্ধকারের অতলে তলিয়ে যেতে যেতে গর্ভবতী এক নারীর তীব্র জীবনবােধ । কথােপকথন: নিজের ভুণের সাথে । ভ্রুণকে জানাতে। চায় এ পৃথিবীর সব অসংগতি আর অমানবিকতা । দ্বিধান্বিত হয় মােহনা। নিস্পাপ একটি প্রাণ কে পৃথিবীর নির্দয় জীবন সংগ্রামে নিক্ষেপ করা কি উচিত হচ্ছে। তার? মােহনার চোখে প্রেমিক পুরুষ আসিফ স্বার্থপর, দায়িত্বজ্ঞানহীন, আত্মকেন্দ্রিক-ভােগবাদী পুরুষদের প্রতিনিধি। আসলে আসিফ কি তাই, নাকি কোন যৌক্তিক পরিস্থিতির শিকার? গর্ভধারণের লজ্জা, অজস্র নিষেধের বেড়াজাল, সমাজের বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করতে করতে মােহনা হয়ে উঠে ক্রমশ: প্রতিবাদী, নির্ভীক লড়াকু এক নারী। ভ্রণটি পৃথিবীর আলাে-বাতাসে আসবে তাে? আসিফ মােহনার কাছে। আর কি ফিরবে? জীবনের গভীরতম বােধগুলাে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে আমার সামান্য এ প্রয়াস। নির্বাসিত নরকে’ বইটি আমার প্রিয় পাঠকগণ এর হাতে তুলে দিতে পেরে অনন্যা প্রকাশনীর প্রকাশক শ্রদ্ধেয় মনিরুল হক ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও সশ্রদ্ধ সালাম।