নিউক্যাসেলের দারুণ পাহাড়ি নদীর মতো রোমান্টিক আশাবাদ আর সহমর্মিতায় স্নান করে মোহিনী এই মধ্য বয়সে প্রেমে পড়ে মিলন নামের এক প্রবাসীর। হয়তো এটাই ওর জীবনের প্রথম প্রেম। উত্তর সমুদ্রের জমাটবাধা হিমশিলার দল গলে যেতে থাকে ট্রপিক্যাল উষ্ণতায়। আর মিলনের মনেও মেয়েদের সর্ম্পকে যে অবাস্তব আশঙ্কা বা প্যারানয়েড ডিলিউশন এসেছিল বহুদিন, মোহিনীই সে ধারণা পাল্টে দিয়ে ওর মনের সব অন্ধকার পুরনো ছবির উপর ধবধবে সাদা রং লাগিয়ে দেয় সহজ ভালোবাসায়। অন্যদিকে শুভ্রকে অজান্তে ভালোবেসে সোহানী বুঝেছিলো, ক্ষত সেরে গেলেও তার দাগ রয়ে যায় গভীর হয়ে মনময়,অনেকগুলো বছর। আর শুভ্রর মনে সোহানী শেষ বিকেলের আলোয় স্থলপদ্মের মতো ফুঁটে থাকে এক বসন্ত থেকে অন্য বসন্তেও।
আবার অজানা প্রাপ্তির দাম না জেনে পরমা তার মনের দখিনের জানালা খুলে দেয় সুজিতের জন্য। কিন্তু সুজিতের দু নৌকায় পা দিয়ে চলা জীবনের সাথে কিছুটা পথ হেঁটে পরমা বোঝে খুব বেশিদূর গিয়ে পথ হারানোর চেয়ে থেমে যাওয়া ভালো। তাতে অন্তত অগম পারে কারো অভিসারে যাবার এক অদম্য বাসনা বুকে রয়ে যাবে আজীবন।
এমন পাওয়া না পাওয়ার অনুভূতি মেশানো তিন নারীর জীবনের ভালোবাসা ও বিরহের গল্প নিয়ে আমার উপন্যাস ‘ত্রয়ী।’ আশাকরি পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবে।