সম্পদভাণ্ডার। বান্দরবান জেলার থানচিতে বাংলাদেশ অভিমুখে প্রবাহিত হয়ে থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি, বান্দরবান সদর, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও আনোয়ারা অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে এই নদী। আদিস্থল গিরিমালা বিবেচানায় শঙ্খ নদীকে ‘গিরিকন্যা’ আবার অন্তঃস্থল বঙ্গোপসাগর হেতু এই নদীকে ‘সাগরকন্যা’ আখ্যায়িত করা যায়। বহতা শঙ্খনদী বহুরূপ ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশের ঋতু পরিক্রমায় এই নদীর রূপ লাবণ্যে পরিবর্তন দেখা যায়। কল্পনায় অনেকে বলে থাকেন শঙ্খনদী প্রাচ্যের সৌন্দর্য রাণী চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঙ্গ, পৃথিবীর কপালের সিঁথির সিঁদুর। বাংলাদেশের সঙ্গীত ও সাহিত্যে নদী ও নারী মানবপ্রেমের উৎস। ভাব, ভাষা ও রূপের ঐশ্বর্যে ভিন্নমাত্রা লাভ করেছে গিরিকন্যা শঙ্খনদী। প্রাচীনকলে এই নদী ছায়ের নদী নামে পরিচিত ছিল।