নতুন এক প্রাণঘাতী মারণব্যাধি “করোনা” মানবসমাজে এনেছে গভীর এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব ও পরিবর্তন।
সদ্য ৬০ পেরনো একজন বিবাহিত পুরুষ কীভাবে “করোনা”কে উপলব্ধি করলো তারই বয়ান এই উপন্যাস।
অপ্রতিরোধ্য ‘গ্লোবালিস্ট’দের সৃষ্ট বলে কথিত “করোনা ক্রাইসিস” অনভিজ্ঞ অলোকরঞ্জন সেনকে শেখালো ‘ড্রাই অর্গাজম’ কী? ‘ইথিক্যাল ক্যাপিটালিজম’ করোনা পরবর্তী মানবিক সঙ্কটের সমাধান, এর বিকল্প নেই।
করোনা তরান্বিত করছে ‘অটোমেশন’, ‘ডিজিটাল ইনোভেশন’, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ এবং ‘নন-হিউম্যান সার্ভিসিং’ ভারী শিল্প কলকারখানা তথা উৎপাদন খাতে! যেখানে কোটি-কোটি সাধারণ মানুষ শ্রমের বিনিময়ে জীবন নির্বাহ করছে। কায়িক কর্মহ্রাসের কারণে স্ফীত হতে থাকবে বেকারত্ব, মানবিক সম্পর্কের গৃহে বিস্তৃত হতে থাকবে ফাটল!
তাহলে সমাধান কী? অলোক সেনও জানে না!
জানতো না সে আরও যে, করোনার কারণেই অকস্মাৎ দেখা মিলবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রেমিকা কৃষ্ণার সঙ্গে! আমেরিকা ফেরত স্বনামধন্য স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কৃষ্ণা তথা মৈত্রী গিলবার্ট-এখন বিধবা। তরুণকালের মতো আবার ঝুঁকে পড়লো অলোকের প্রতি। কিন্তু অলোক সেন সাড়া দিল কি?